মণিপুরে ক্ষমতায় বিজেপি, রাজ্য অবরোধমুক্ত

ভারতের মণিপুর রাজ্যে ১৫ বছরের কংগ্রেসি শাসনের অবসান হয়েছে। ক্ষমতায় এখন এ রাজ্যের ‘সংখ্যালঘু’ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর ১৩০ দিন পর অবরোধমুক্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী নংথমবম বীরেন সিং আস্থা ভোটে জয়ের পরই রাজ্যের দুই জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিল ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল।

গত ১ নভেম্বর থেকে রেলওয়ে পরিষেবামুক্ত রাজ্যটিকে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল অবরোধ করে রাখে। আন্দোলনকারীরা জানান, রাজ্যে কংগ্রেসের শাসন থাকলে অবরোধ উঠবে না। কংগ্রেস শাসনমুক্ত হওয়ার পরই উঠল অবরোধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ফের ট্রাক ঢুকছে রাজ্যে। মানুষের দুর্ভোগ কমছে কি না, সেটা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।

গতকাল বীরেন সিংয়ের মন্ত্রিসভা আস্থা ভোটে জয়লাভ করে। কংগ্রেসের তরফে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের দাবি করা হয়। সেই দাবি খারিজ করে দেন মণিপুর বিধানসভার নবনির্বাচিত স্পিকার ইয়ামনাম ক্ষেমচাঁদ সিং। গতকালই তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। স্পিকারের দেওয়া রুলিংয়ে কণ্ঠভোটে জয়লাভ করেন বীরেন সিং। ভোটে জিতেই তিনি বিরোধীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সহায়তার আশ্বাস চান। একই সঙ্গে দলমত-নির্বিশেষে রাজ্যবাসীর কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন।

এদিকে বিরোধী দল কংগ্রেস শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ করছে। একক বৃহত্তম দল কংগ্রেসকে সরকার গড়তে না ডেকে রাজ্যপাল নাজমা হেফতুল্লা বিজেপির হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং। সেই সঙ্গে নাগা ‘জঙ্গি’দের সঙ্গে গোপন চুক্তি থেকে শুরু করে রাজ্যবাসীকে অবরুদ্ধ রেখে ভোট গ্রহণেরও কড়া নিন্দা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় কংগ্রেস ২৮টি এবং বিজেপি ২১টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু এক কংগ্রেস বিধায়কসহ অন্য বিধায়কদের সমর্থন আদায় করে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিল বিজেপি। দলবদলের খেলায় কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা শুরুতেই কমে দাঁড়াল ২৭। দলের এই হাল নিয়ে শিগগিরই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁরা বৈঠকে বসবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইবোবি সিং।