দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে রুহানি

ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ছবি: রয়টার্স
ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ছবি: রয়টার্স

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া না হলেও দেশটির পার্লামেন্টারি নির্বাচনের ফল সে আভাসই দিচ্ছে।

ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লাখ ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে রুহানি ১ কোটি ৪৬ লাখ ভোট পেয়েছেন। তবে রুহানির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম রাইসি ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেছেন।

আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়। খবরে বলা হয়, হাসান রুহানির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম রাইসি অভিযোগ করেছেন, রুহানির সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা নির্বাচনী আইনবহির্ভূত। ৫৬ বছর বয়সী রাইসি রক্ষণশীল বলে পরিচিত।

এদিকে ভোটদানের সময় আরও পাঁচ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। চলবে স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত। ৭০ শতাংশ ভোট পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, চার কোটির বেশি ভোট নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘অনুরোধে’ এবং ‘লোকজনের বিপুল উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেওয়ার’ কারণে ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (৬৮) নির্বাচনী প্রচারে উদার ও বর্হিমুখী দৃষ্টিভঙ্গির ইরান গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। পরমাণু চুক্তির ক্ষেত্রে তাঁর সফলতাকে আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। ২০১৫ সালে পরমাণু শক্তিধর ছয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির ফলে ইরান একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা পর্যন্ত পরমাণু কর্মসূচি চালালেও পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে পারবে না। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধ উঠে যায়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর এই চুক্তির বিরোধিতা করছেন।