মুক্তি মিলেছে প্রাণটা মেলেনি

ওটো ওয়ার্মবিয়ার। ছবি: রয়টার্স
ওটো ওয়ার্মবিয়ার। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওটো ওয়ার্মবিয়ার। ২২ বছরের এই তরুণ উত্তর কোরিয়ায় বন্দী ছিলেন ১৭ মাস। গত সপ্তাহে মিলল মুক্তি। কিন্তু ওটো তখন কোমায়।

কোমায় থাকা অবস্থাতেই ওটোকে ফেরত দেয় উত্তর কোরিয়া। বলা হয়, মানবিক কারণে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলো। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওটো।

মা-বাবা জানিয়েছেন, কোমায় থাকা অবস্থায় ওটোকে তাঁরা পেয়েছেন। সে সময় তাঁদের হাতে ছেলেকে ভালো করার আর কোনো উপায় ছিল না। সিনসিনাটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, মস্তিষ্কে বড় ধরনের আঘাতের কারণে ওটো কোমায় ছিলেন।

ওটো উত্তর কোরিয়ায় পর্যটক হিসেবে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সে দেশের গণমাধ্যম বলছে, প্রচারণা স্লোগানবিষয়ক একটি জিনিস চুরির চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ওটোকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওটোর মা-বাবা এক বিবৃতিতে বলছেন, উত্তর কোরিয়রা ছেলেকে চরম নির্যাতন করেছে। এ কারণেই তাঁর এমন পরিণতি।

ওটো ওয়ার্মবিয়ার। ছবি: রয়টার্স
ওটো ওয়ার্মবিয়ার। ছবি: রয়টার্স

ওটো ওয়ার্মবিয়ারের বাবা ফ্রিড ওয়ার্মবিয়ার গত সপ্তাহে বলেন, তাঁর ছেলের ওপর পিয়ংইয়ং সরকার নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এবং ঘুমের ওষুধ খেয়ে ওটো কোমায় চলে গেছেন। তবে সিনসিনাটির চিকিৎসকেরা বলেছেন, ওটোর শরীরে তাঁরা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পাননি।

উত্তর কোরিয়ায় বন্দিদশায় থাকাকালে ওটোর কী চিকিৎসা হয়েছিল, তা নিয়েও রহস্য রয়েছে।

ওটোর মৃত্যু নিয়ে গতকাল জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে ওটোর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার বর্বর আচরণের নিন্দাও জানান তিনি। রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট