রাখাইনে কারফিউ, সেনা মোতায়েন

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সেনা মোতায়েন ও কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাখাইনে নতুন করে সেনা মোতায়েনের খবরে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশের পর দেশটির কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার জানায়, সম্প্রতি সেখানে ঘটা হত্যাকাণ্ডের জেরে এই সেনা মোতায়েন। এদিকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে কারফিউ জারির খবর। কর্তৃপক্ষের এসব উদ্যোগে গত বছরের মতো দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছে স্থানীয় রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মুখোশধারী আততায়ীদের হাতে অনেক গ্রামবাসীর অপহরণ হওয়া এবং হত্যাকাণ্ডের জের ধরে রাখাইন রাজ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি গত শুক্রবার বলেন, সহিংসতাপ্রবণ রাখাইনে নতুন করে সেনা মোতায়েন করা অত্যন্ত উদ্বেগের। এরপর গতকাল নাম না প্রকাশের শর্তে এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, মায়ু পর্বতমালায় অনেক সেনা ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে। দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক সদস্য বলেন, ‘মুসলিমবিদ্রোহীরা বনের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা সরকারের হয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের মেরে ফেলেছে।’ তাই দুর্গম এলাকায় অন্য নৃগোষ্ঠীর লোকদের সুরক্ষার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউ জারি করা এলাকার বাসিন্দা হাসুমইয়ার বলেন, রাথিদাউংয়ের মুসলিমপ্রধান কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছে। এই রাথিদাউং রাখাইনে পড়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় নয়জনের প্রাণহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দমনপীড়ন অভিযান শুরু করে সরকার। সে সময় সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং তাদের নিশ্চিহ্ন করতে হত্যা ও ধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে জাতিসংঘের।