অতিরিক্ত কাজের চাপে সাংবাদিকের মৃত্যু

মিওয়া সাদো। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
মিওয়া সাদো। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

কর্মক্ষেত্রে মাসে টানা ১৫৯ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করার কারণেই জাপানে এক নারী সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শ্রম পরিদর্শক।

ব্রিটিশ অনলাইন ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিওয়া সাদো নামের ওই নারী টোকিওতে দেশটির সরকারি পাবলিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা এনএইচকে’র রাজনীতি বিষয়ক সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালের জুলাইতে তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে টোকিও মেট্রোপলিটনের স্থানীয় একটি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৩১ বছর বয়সী মিয়াকে। দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন পর হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বিষয়টি এত দিন স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু মিওয়ার পরিবারের চাপে এত দিন পর এ নিয়ে মামলা হয়। এরপর মিওয়ার কর্মক্ষেত্রের কাজের রেকর্ড খতিয়ে দেখেন শ্রম পরিদর্শক।

শ্রম পরিদর্শক জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজের চাপে মিওয়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে তিনি টানা এক মাস ১৫৯ ঘণ্টার ওভারটাইম করেছিলেন। মাসে ছুটি পেয়েছিলেন মাত্র দুই দিন।

মিওয়া সাদোর কর্মক্ষেত্র এনএইচকে’র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাসাহিকো ইয়ামাউচি বলেন, এই সংস্থার গাফিলতির কারণেই মিওয়া সাদোর মৃত্যু হয়েছে। এখানে অতিরিক্ত কাজ করতে চাপ দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে এনএইচকে কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট রিওচি উয়েদা বলেছেন, ‘আমরা গভীর দুঃখপ্রকাশ করছি। কর্মঘণ্টা সংক্রান্ত চাপের কারণে আমরাও একজন দক্ষ কর্মীকে হারিয়েছি। আমরা তাঁর অভিভাবকদের সহযোগিতা করব।’

জাপানে অতিরিক্ত কাজের চাপে মিওয়া সাদোর মৃত্যুই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে কর্মক্ষেত্রে বাড়তি কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মী আত্মহত্যা করেছিলেন। এক মাসে তিনি ১০০ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করেছিলেন। জাপানে অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

দেশটির জাতীয় সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জাপানে বাড়তি কাজের চাপের কারণে বছরে প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।