জিম্বাবুয়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে, মুগাবে 'গৃহবন্দী'

রাজধানী হারারের রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়িবহর নিয়ে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ছবি: রয়টার্স
রাজধানী হারারের রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়িবহর নিয়ে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ছবি: রয়টার্স

জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ এখন দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ‘নিরাপদে ও সুস্থ’ আছেন বলে বিবিসি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়।

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা জানিয়েছেন, তিনি মুগাবের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইঙ্গিত দেন, ‘মুগাবে নিজের বাড়িতেই গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন, তবে ভালো আছেন।’

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গতকাল মধ্যরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দখল করে নেয় সেনাবাহিনী। সেখানে মেজর জেনারেল এসবি মোয়ো টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতি পাঠ করেন। বলেন, ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে ও তাঁর পরিবার নিরাপদে ও ভালো আছেন। আমাদের একমাত্র টার্গেট মুগাবেকে ঘিরে থাকা অপরাধীরা। তাদের কারণেই দেশটিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়। তাদের বিচারের আওতায় আনতে এ পদক্ষেপ।’

তিনি বলেন, এটি কোনো অভ্যুত্থান নয়। এ অভিযান সম্পন্ন হলেই দেশে দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে বলে ওই বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল জেবিসির দখল নেওয়ার পর বিবৃতি পাঠ করেন মেজর জেনারেল এস বি মোয়ো। ছবি: রয়টার্স
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল জেবিসির দখল নেওয়ার পর বিবৃতি পাঠ করেন মেজর জেনারেল এস বি মোয়ো। ছবি: রয়টার্স

একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, রাজধানী হারারেতে প্রধান প্রধান সরকারি দপ্তর, পার্লামেন্ট ও আদালতের সামনের রাস্তাগুলোতে সেনারা সাঁজোয়া গাড়িবহর নিয়ে অবস্থান করছে।

রাজধানী হারারের উত্তর দিক থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।

এদিকে বিরোধী দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জ শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিক গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে। দলটি আশা করে, সেনাবাহিনীর এই হস্তক্ষেপ ‘দেশকে স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দেবে।’

রবার্ট মুগাবে
রবার্ট মুগাবে

সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটির (এসএডিসি)র পক্ষ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা বলেন, তিনি আশা করেন জিম্বাবুয়ের সরকারে অসাংবিধানিক কোনো পরিবর্তন হবে না।

জুমা জিম্বাবুয়ের সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতি রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান করতে আহ্বান জানান।

গত সপ্তাহে মুগাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করলে চলমান এই সংকটের সূচনা হয়। নানগাগওয়াকে এত দিন মুগাবের উত্তরসূরি ভাবা হলেও সম্প্রতি তাঁর জায়গায় ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবেকে ভাবা হচ্ছে।