ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত হবে

হিলারি ক্লিনটন। ফাইল ছবি
হিলারি ক্লিনটন। ফাইল ছবি

মার্কিন বিচার বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস) দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটন প্রতিষ্ঠিত ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ও একটি ইউরেনিয়াম চুক্তির বিষয় খতিয়ে দেখতে আইনি কর্মকর্তাদের (প্রসিকিউটর) নির্দেশ দিয়েছে।

এক চিঠিতে ওই সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাতব্য সংস্থা ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ও ইউরেনিয়াম ওয়ান বিক্রি নিয়ে তদন্ত শুরু করা যেতে পারে।

অবশ্য মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস সিনেটে এক শুনানিতে বলেছেন, রিপাবলিকানদের চাওয়া অনুযায়ী তদন্ত করার জন্য বিশেষ পরামর্শক নিয়োগের কোনো ভিত্তি নেই।

আর হিলারির দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা বলছেন, এভাবে নতুন করে তদন্তের অর্থ মানুষের মনোযোগ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। কারণ, গত বছরের মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের সহযোগীরা ক্রেমলিনের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন কি না, সেই বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।

ইউরেনিয়াম ওয়ান হচ্ছে কানাডার একটি কোম্পানি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এক-পঞ্চমাংশ ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে। রিপাবলিকানদের অভিযোগ, বিল ক্লিনটনের দাতব্য সংস্থা সাড়ে ১৪ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান পাওয়ার পর ওবামা প্রশাসন ওই চুক্তিটির অনুমোদন দেয়। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে সব দাতার নাম প্রকাশের কথা থাকলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে দাতাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া ক্লিনটন ক্রেমলিনভিত্তিক একটি বিনিয়োগ ব্যাংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে পাঁচ লাখ ডলার পেয়েছিলেন। ইউরেনিয়াম ওয়ান ওই ব্যাংকের শেয়ার ছিল। ইউরেনিয়াম ওয়ানের সঙ্গে চুক্তিটি করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরসহ কয়েকটি সংস্থার অনুমতি প্রয়োজন ছিল। আর ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এর দায়িত্বে ছিলেন।

হিলারি ক্লিনটন অবশ্য সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওই চুক্তিসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ বাজে কথা ও তা বারবার খতিয়ে দেখা হয়েছে।

এখন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট গুডলেট জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে ইউরেনিয়াম ওয়ান চুক্তি সম্পর্কে খতিয়ে দেখতে বিশেষ কাউন্সিলের সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের এক সহকারী তাঁর উত্তরে বলেছেন, ওই চিঠিতে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, তা মূল্যায়ন করতে জ্যেষ্ঠ ফেডারেল আইনজীবীদের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।

বিষয়টি সম্পর্কে সম্প্রতি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘দুঃখের বিষয়’ হচ্ছে বিচার বিভাগে তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। তবে তিনি প্রকাশ্যেই অ্যাটর্নি জেনারেলকে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে টুইট করে ট্রাম্প লেখেন, ‘হিলারির অপরাধের বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থান দুর্বল। তদন্ত হচ্ছেটা কোথায়?’ প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। তথ্যসূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।