জিম্বাবুয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে শুক্রবার

এমারসন নানগাগওয়া
এমারসন নানগাগওয়া

জিম্বাবুয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন আগামী শুক্রবার। আজ বুধবার তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

জিম্বাবুয়ের সংবাদমাধ্যম জেডবিসির বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় দেশে আসবেন এমারসন নানগাগওয়া। নিরাপত্তার কারণে দুই সপ্তাহ আগে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এর আগে তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে।

ঠিক এক সপ্তাহ আগে জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী দেশটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। গৃহবন্দী করা হয় দেশটির ৩৭ বছরের শাসক মুগাবেকে। দেশটির পার্লামেন্টে মুগাবেকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা আসে। এর আগে তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। মুগাবের পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির রাস্তায় সাধারণ মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

গতকালের উৎসবের পর আজ সকালে হারারের রাস্তা ছিল শান্ত। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কর্মস্থলেও যোগ দিয়েছেন অনেক মানুষ। এর আগে প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুগাবের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দেশটির ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফের প্রধানের পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে গত রোববার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে পদ না ছাড়ায় অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

মুগাবে ও তাঁর স্ত্রী জিম্বাবুয়েতেই থাকবেন কি না, এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি। মুগাবে দেশে থেকে গেলে তা এমারসন নানগাগওয়া ও নতুন নেতাদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিকে মুগাবের পদত্যাগের পর গতকাল দেওয়া এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এমারসন নানগাগওয়া। তিনি বলেছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চান।

জিম্বাবুয়ের চলমান সংকটের শুরু দুই সপ্তাহ আগে, যখন প্রেসিডেন্ট মুগাবে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করেন। বলা হয়, মুগাবে তাঁর স্ত্রী গ্রেসকে দেশটির ক্ষমতায় বসাতেই বরখাস্ত করেন নানগাগওয়াকে। দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় নানগাগওয়া। তাঁকে বরখাস্ত করার এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেনাবাহিনী।