জাতিসংঘ প্রতিনিধির বার্ষিক বাজেট সাড়ে ৮ লাখ ডলার

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০১৮-১৯ সালের জন্য বিশ্ব সংস্থাটির জন্য যে দ্বিবার্ষিক বাজেট পাস করেছে, তাতে মিয়ানমারে একজন জাতিসংঘ প্রতিনিধির দপ্তরের জন্য ২০১৮ সালের ব্যয় বাবদ ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ ডলার মঞ্জুর করা হয়েছে।

গত মাসে সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে গৃহীত এক প্রস্তাবে মিয়ানমারের জন্য একজন বিশেষ প্রতিনিধির নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। কমিটি যে প্রস্তাব করে তাতে বিশেষ প্রতিনিধির কার্যাবলি পরিচালনার জন্য নিউইয়র্ক ও মিয়ানমারের কাছাকাছি কোনো দেশে দুটি সমান্তরাল দপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য মোট ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের ব্যয় বরাদ্দ অনুরোধ করা হয়েছিল। সাধারণ পরিষদের ফিফথ কমিটির নিরীক্ষার পর দপ্তরটির পরিধি কাটছাঁটের পর মূল প্রস্তাব থেকে প্রায় ৬ লাখ ৮৭ হাজার ডলার ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে আনা হয়।

জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটেও বড় ধরনের কাটছাঁট করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের জন্য জাতিসংঘের যে দ্বিবার্ষিক বাজেট গৃহীত হয়েছে, তার পরিমাণ ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা বিগত দ্বিবার্ষিক বাজেটের ৫ শতাংশ কম।

জাতিসংঘের বাজেট প্রস্তাব গৃহীত হলেও মিয়ানমারের জন্য বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের ব্যাপারে থার্ড কমিটির প্রস্তাবটি এখনো সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়নি। জাতিসংঘ সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবটি সম্ভবত নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে গৃহীত হতে পারে।

কে নতুন জাতিসংঘ প্রতিনিধি হবেন, অথবা নিউইয়র্ক ছাড়া অন্য কোথায় তাঁর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জাতিসংঘ সূত্রে জানা গেছে, স্ক্যান্ডেনেভিয়ার কোনো একটি দেশের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে এই পদ গ্রহণে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। একই সূত্র থেকে জানা গেছে, মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখার জন্য সম্ভবত ব্যাংককে মহাসচিবের প্রতিনিধির দ্বিতীয় দপ্তরটি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এই শহরের জীবনযাত্রার ব্যয়ের ভিত্তিতেই বাজেটের মোট ব্যয় বরাদ্দ নির্ধারিত হয়। অন্য একজন কূটনীতিক প্রথম আলোকে জানান, সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়াতেও দপ্তরটি স্থাপিত হতে পারে।

বাংলাদেশি কূটনীতিকেরা মিয়ানমার প্রশ্নে জাতিসংঘ প্রতিনিধির নিয়োগকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এর আগে প্রথম আলোকে জানান, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে কাজ করতে হবে, কিন্তু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী যদি এই প্রশ্ন থেকে তাদের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়, তাহলে সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে।