চীনকে 'হাতেনাতে ধরা' হয়েছে: ট্রাম্প

লাইটহাউস উইনমোর নামের এই জাহাজটি তাইওয়ানে যাওয়ার উদ্দেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর থেকে তেল নিয়েছিল। কিন্তু জাহাজটি কখনোই তাইওয়ানে যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ছবি: এএফপি
লাইটহাউস উইনমোর নামের এই জাহাজটি তাইওয়ানে যাওয়ার উদ্দেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর থেকে তেল নিয়েছিল। কিন্তু জাহাজটি কখনোই তাইওয়ানে যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, জাতিসংঘের অবরোধ থাকা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার জাহাজকে তেল সরবরাহ করার অভিযোগে তারা হংকং-নিবন্ধিত একটি জাহাজ গত মাসে জব্দ করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাইটহাউস উইনমোর নামের ওই জাহাজটি গোপনে উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজকে ৬০০ টন পরিশোধিত তেল সরবরাহ করেছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী বিদেশি কোনো জাহাজই উত্তর কোরিয়ার কোনো জাহাজে কোনো ধরনের পণ্য সরবরাহ করতে পারবে না।

চীনের জাহাজগুলো গোপনে উত্তর কোরিয়ার জাহাজে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করছে—ওয়াশিংটনের এমন সন্দেহ ক্রমেই বাড়ছিল। চীন উত্তর কোরিয়াকে তেল সরবরাহ করছে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ দাবি সম্প্রতি নাকচ করে দেয় চীন। এরপর ওই জাহাজ জব্দ করার কথা প্রকাশ করল দক্ষিণ কোরিয়া।
এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেন, চীনকে নিয়ে তিনি ‘খুবই হতাশ’। চীনকে ‘হাতেনাতে ধরা’ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়নহ্যাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর ওই জাহাজটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়েওসু বন্দরে প্রবেশ করে পরিশোধিত তেল নেয়। চার দিন পর জাহাজটি তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু তাইওয়ানে যাওয়ার পরিবর্তে জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ওই তেল উত্তর কোরিয়ার একটিসহ তিনটি জাহাজে সরবরাহ করে। পরে জাহাজটি পুনরায় ইয়েওসু বিমানবন্দরে এলে সেটি জব্দ করা হয়।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওই তেল সরবরাহের চিত্র মার্কিন কৃত্রিম উপগ্রহে ধরা পড়েছে। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ উইনমোরের নাম উল্লেখ করেনি।