৪৯ বছরের জন্য সিরিয়ার নৌঘাঁটি রাশিয়ার!

সিরিয়ার তারতুস বন্দর। ছবি: স্পুৎনিকের সৌজন্যে।
সিরিয়ার তারতুস বন্দর। ছবি: স্পুৎনিকের সৌজন্যে।

সিরিয়ার একটি নৌঘাঁটি ৪৯ বছরের জন্য ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে রাশিয়া। এ জন্য ক্রেমলিনকে অর্থ দিতে হবে না দামেস্ককে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়ার সঙ্গে করা এ-সংক্রান্ত একটি সামরিক চুক্তি সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন। এতে সিরিয়ার তারতুস নৌঘাঁটির উন্নয়ন ও এর পুরোপুরি ব্যবহারের সুযোগ পেল রাশিয়া।

তাস অনলাইনের খবরে জানানো হয়, তারতুস নৌঘাঁটির আধুনিকীরণের লক্ষ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দামেস্কে চুক্তি সই করে রাশিয়া ও সিরিয়া। রুশ স্টেট ডুমায় এ চুক্তির বিল উত্থাপন করা হলে তা ২১ ডিসেম্বর পাস হয়। পরে ফেডারেল কাউন্সিলের অনুমোদন পাওয়ার পরই ২৬ ডিসেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৪৯ বছরের জন্য বিনা মূল্যে তারতুস নৌঘাঁটির অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া। উভয় পক্ষের সম্মতিতে এই চুক্তি আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন করা যাবে। নৌঘাঁটির রক্ষণাবেক্ষণ, পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকীকরণের কাজ শেষে সেখানে পারমাণবিক শক্তি চালিত জাহাজ ও ডুবোজাহাজসহ সর্বোচ্চ ১১টি রুশ রণতরি নোঙর করতে পারবে।

তারতুস নৌঘাঁটির অবকাঠামো উন্নয়ন হলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন রুশ ফেডারেল কাউন্সিলের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটর প্রধান ভিক্টর ভান্দারেভ। রুশ গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, রাশিয়া ও সিরিয়া উভয় দেশই তারতুস নৌঘাঁটির সুফল পাবে। আমরা এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূমধ্যসাগরের তীর ঘেঁষে অবস্থিত সিরিয়ার তারতুস নগর। লাতাকিয়ার পরই তারতুস সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর নগর। সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকেই তারতুসে রুশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি ছিল। ১৯৭১ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তি মোতাবেক এখনো এই নৌঘাঁটি ব্যবহার করছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বাইরে তারতুসে হচ্ছে রাশিয়ার একমাত্র সামরিক ঘাঁটি।

সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে ২০১৫ সালে বিমানবাহিনীর একটি দল গঠন করা হয়। রাশিয়া দাবি করছে, এ অভিযানে সিরিয়ার লাতাকিয়া, পালমিরা, রাক্কা, দেইর আল-জর ও আলেপ্পো আইএসমুক্ত করেছে রাশিয়া।