মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেন। এর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিপাবলিকান দল থেকে।

শপথের পরপরই টেলিভিশনগুলোতে এবং পরের দিনের পত্রিকায় আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ২০০৯ সালের শপথ ও ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের ছবি পাশাপাশি প্রকাশ করে দেখিয়ে দিল ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে দর্শক উপস্থিতি অনেক কম। নিউইয়র্ক মেট্রোর দেওয়া হিসাব এবং গণমাধ্যমের মূল্যায়নে দর্শক বড়জোর সাড়ে তিন থেকে চার লাখ হতে পারে। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়েছে। তাঁর মতে, সব গণমাধ্যমের কারসাজি, ছবি ‘ফটোশপ’ করা। গণমাধ্যমকে অভিহিত করলেন বিশ্বের ‘সবচেয়ে অসৎ’ হিসেবে। সেই থেকে মুখোমুখি ট্রাম্প আর গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের খবরকে তিনি কথায় কথায় বলেন ‘ফেইক নিউজ’।

ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন এবং এর আগে ছোট-বড় বিক্ষোভ হয় কমবেশি। কিন্তু হোয়াইট হাউসে প্রথম রাতটি কাটিয়ে পরদিন সকালে ট্রাম্প যখন জাগলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ। কমপক্ষে ৬০০ জায়গায় বিক্ষোভ হয় সেদিন। অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশ নারী। কেননা, নারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে বেজায় ক্ষুব্ধ মার্কিন নারী সমাজ। এমন একজনকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে নারাজ।

সারা বিশ্বের চিত্রও তাই। বিক্ষোভ আর বিক্ষোভ। এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হলেন আর তার প্রতিবাদে বিশ্বের শহরে শহরে রাস্তায় নেমে এল মানুষ। নারীর প্রতি ট্রাম্পের আচরণের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর উদ্বেগের আরেক কারণ তাঁর জলবায়ুনীতি। ভোটের আগেই বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি তিনি মানেন না। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেবেন এমন ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসতে দেখে তাই তারা ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ মানুষ রাজপথ ছেড়ে যার যার কাজে ফেরে একসময়। ট্রাম্পও তাঁর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়ে গেছে।