পার্লামেন্ট থেকে ২৪ হাজার বার পর্নো সাইটে ক্লিক!

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের নেটওয়ার্ক থেকে ২৪ হাজারের বেশি বার পর্নো সাইটে ঢোকার চেষ্টা হয়েছে। পার্লামেন্টের এমপি, কর্মী ও অতিথিদের কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইস এই চেষ্টা করা হয়।


আজ সোমবার ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের ফ্রিডম অব ইনফরমেশনের (এফওআই) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন মাসে সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্টের ডিভাইস থেকে ২৪ হাজার ৪৭৩ বার পর্নো সাইটে ঢোকার চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিসাব অনুযায়ী পার্লামেন্ট নেটওয়ার্কে যুক্ত কম্পিউটার ও অন্য ডিভাইস থেকে দিনে গড়ে প্রায় ১৬০ বার পর্নো সাইটে ঢোকার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ডেপুটি ডেমিয়ান গ্রিনের কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি পায় পুলিশ। এ নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ বিবৃতি দেওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ঘটনার পরই পার্লামেন্ট থেকে পর্নো সাইটে ঢোকার চেষ্টার এ তথ্য প্রকাশ করা হলো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাউস অব লর্ডস ও হাউস অব কমনসের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা ডিভাইস থেকে ৯ হাজার ৪৬৭ বার পর্নো সাইটে ঢোকার চেষ্টা করা হয়েছে। এটাই এক মাসে সবচেয়ে বেশি।

পার্লামেন্টের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, পার্লামেন্টের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা কম্পিউটার বা ডিভাইস থেকে সাম্প্রতিক বছরে পর্নো সাইটে ঢোকার চেষ্টা কিছুটা কমেছে। ২০১৬ সালে এ ধরনের ১ লাখ ১৩ হাজার ২০৮টি চেষ্টা ব্লক করে দিয়েছে পার্লামেন্টের ফিল্টারিং সিস্টেম। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ২০টি।

পার্লামেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘পার্লামেন্টের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা সব কম্পিউটারেই সব ধরনের পর্নো সাইট ব্লক করা হয়েছে। পর্নো সাইটে ঢোকার অধিকাংশ চেষ্টাই কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি। সেগুলো ছিল শুধু পর্নো সাইটে ঢোকার অনুরোধ, পর্নো দেখার নয়।’

পার্লামেন্টের ওই মুখপাত্র আরও বলেন, পার্লামেন্টে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা ৮ হাজার ৫০০ কম্পিউটার আছে। এগুলো হাউস অব লর্ডস ও হাউস অব কমনসের এমপি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যবহার করেন। তবে অনেক অতিথিও তাঁদের ডিভাইসে পার্লামেন্টের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন।