অবশেষে জার্মানিতে সরকার গঠন হচ্ছে

জার্মানির সরকার গঠনের আলোচনায় তিন নেতা চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, হোরস্ট সিহোফার (বাঁয়ে) ও মার্টিন শুলজ (ডানে)। ছবি: এএফপি
জার্মানির সরকার গঠনের আলোচনায় তিন নেতা চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, হোরস্ট সিহোফার (বাঁয়ে) ও মার্টিন শুলজ (ডানে)। ছবি: এএফপি

জার্মানিতে নির্বাচনের প্রায় তিন মাস পর পুনরায় বিগত আট বছরের জোট সরকারের আদলের দলগুলোকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

বার্লিনে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের সদর দপ্তর উইলি ব্যান্ড হাউসে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার আলোচনা চলে। ওই আলোচনা শেষে জোট গঠন প্রক্রিয়ায় থাকা তিন দলের ৩৯ জন সদস্য সরকার গঠনের জন্য ২৮ পাতার রূপরেখা সমাপ্ত করেছেন।

ইতিপূর্বে জার্মানিতে ১২ বছর ধরে ক্ষমতাসীন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন নতুন শরিক ফ্রি ডেমোক্রেটিক দল ও পরিবেশবাদী সবুজ দলকে নিয়ে জোট সরকার গঠনের আলোচনা শুরু করলেও পরে তা ভেস্তে যায়।

ওই পরিস্থিতিতে সরকার গঠন লক্ষ্যে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভালটার স্টাইনমায়ার জার্মানি ও ইউরোপের স্বার্থে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে জোট সরকার গঠনের তাগিদ দেন এবং বিভিন্ন দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের পর জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা মার্টিন শুলজ ২৪ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পরপরই পুনরায় জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তর দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি জোট সরকারে যোগ দিলে নির্বাচনে বিজয়ী তৃতীয় বৃহত্তম দল কট্টরবাদী ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি নামের দলটি জার্মান পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে বিবেচিত হোক, সেটিও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি চাইছিল না। তবে সরকার গঠনে সংকটময় পরিস্থিতিতে পুনরায় দলটি জোট সরকার গঠনে রাজি হয়। তবে জোট সরকার গঠনে সম্মতির ক্ষেত্রে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি পূর্বের জোট সরকারগুলোর তুলনায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের অধিক দাবিদাওয়া সন্নিবেশিত করতে সক্ষম হয়েছে।

উইলি ব্যান্ড হাউসে সরকার গঠনের রূপরেখা সমাপ্ত হলেও জোট সরকার গঠন প্রয়াসী ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দল ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন এই তিনটি দলের সমর্থকদের কাছে এই সরকার গঠনের রূপরেখার জন্য সম্মতি নিতে হবে।