পর্ন তারকার মুখ বন্ধে অর্থ দেন ট্রাম্প

স্টেফানির মাইস্পেস অ্যাকাউন্টের একটি ছবিতে স্টেফানি ও ট্রাম্প। ছবিটি ২০০৬ সালের কোনো এক সময় তোলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি সংগৃহীত
স্টেফানির মাইস্পেস অ্যাকাউন্টের একটি ছবিতে স্টেফানি ও ট্রাম্প। ছবিটি ২০০৬ সালের কোনো এক সময় তোলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি সংগৃহীত

২০০৬ সালে এক পর্ন তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ওই পর্ন তারকা যাতে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খোলেন, সেই লক্ষ্যে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাসখানেক আগে এক আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনটিতে ওই ‘ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন এমন মানুষে’র সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখতে হয়ে স্টেফানি অর্থ গ্রহণ করেছেন বলে কোনো তথ্য-প্রমাণ বা নথির কথা প্রকাশ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে স্টেফানির সঙ্গে ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এর এক বছর পরই ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ে করেন।

স্টর্মি ডেনিয়েলস নামে অভিনয় করা স্টেফানি ক্লিফোর্ড নামে ওই পর্নো তারকার দাবি ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।

অনলাইন ম্যাগাজিন স্লেট গ্রুপের প্রধান সম্পাদক জ্যাকব ওয়েইসবার্গ বলেন, ২০১৬ সালের আগস্ট ও অক্টোবরে সাক্ষাৎকারে ক্লিফোর্ড বলেন, ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয় এবং সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্পের আইনজীবী তাঁকে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এ জন্য ট্রাম্পের আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে অর্থ দেওয়া হয়।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন ওই পর্ন তারকা দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ করার জন্য তাঁকে মোটা অঙ্কের অর্থ দেন ট্রাম্প। এ অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। স্টেফানি ক্লিফোর্ড আরও দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নামি গলফ টুর্নামেন্টে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয় হয়েছিল। ২০০৬ সালে তার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেখানেই ওই কাণ্ড করেন ট্রাম্প।

এদিকে, ওই খবরকে শুধু রটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই ধরনের বহু খবর নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়েছিল। সেসব গল্পেরই একটি আবার ছাপা হয়েছে।