পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরে সাত বছরের শিশু জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশের তদন্ত ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জয়নাবের বাবা আমিন আনসারি। আজ রোববার গণমাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকে আমিন আনসারি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের আশ্বাস দিচ্ছে যে শিগগিরই সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ এ সময় জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ করা যেসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান আমিন। তিনি আরও বলেন, ‘সহিংসতার অভিযোগে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে। তারা আমাকে সাহায্য করার জন্যই রাস্তায় নেমেছিল। যাদের কারাগারে রাখা হয়েছে, তাদের অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে।’
গত বুধবারের বিক্ষোভে পুলিশের চালানো গুলিতে শোয়েব ও মোহাম্মদ আলি নামের দুই ব্যক্তি নিহত হন। আমিন দাবি করেন, ওই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে পুলিশই হাঙ্গামা বাধিয়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর গত মঙ্গলবার একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় ছোট্ট জয়নাবের লাশ। শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ দাবিতে গত বুধবার থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানকার মানুষ। অপরাধীর খোঁজ দিলে এক কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল পুলিশ সন্দেহভাজন ধর্ষকের সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ করেছে।
এর আগেও পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জয়নাবের বাবা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ সন্দেহভাজন অপরাধীকে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করতে না পারায় তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
জয়নাব হত্যার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মতো সরব হয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদের সদস্যরাও। গতকাল সংসদ অধিবেশনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব যৌন হয়রানি সম্পর্কে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে পাঠ্যপুস্তকে এ-সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।