অসলো চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি পিএলওর

পিএলও সেন্ট্রাল কাউন্সিলের বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ছবি: রয়টার্স
পিএলও সেন্ট্রাল কাউন্সিলের বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাহার এবং ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সেন্ট্রাল কাউন্সিল, যা ফিলিস্তিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণসংক্রান্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংস্থা।

ইসরায়েল যদি ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগের সীমন্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেয়, যাতে পূর্ব জেরুজালেম হবে রাজধানী, তবে অসলো চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসাই হবে যথাযথ সিদ্ধান্ত। গত সোমবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পিএলও সেন্ট্রাল কাউন্সিলের এক বৈঠকে এমনটাই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি চুক্তির জন্য অসলোতে একটি গোপন বৈঠক হয়। এর সূত্র ধরে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন। এর মাধ্যমে পিএলও এবং ইসরায়েল একে অপরকে স্বীকৃতি দেয়।

রামাল্লায় গত রোববার শুরু হয় পিএলও সেন্ট্রাল কাউন্সিলের দুই দিনের বৈঠক। সোমবার বৈঠক শেষে সেন্ট্রাল কাউন্সিল জানিয়েছে, ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত করতে পিএলও কার্যনির্বাহী কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তির ‘আর কোনো কার্যকারিতা নেই’।

গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এবং স্বাধীনতাকামী দল হামাসের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সেনারা। বহু হতাহতের ঘটনা ঘটছে গাজা ও পশ্চিম তীরে।

ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলকে নিজেদের ভবিষ্যৎ সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায়। আর ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস রোববার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আসলে ‘শতকের সেরা চড়’।

সেন্ট্রাল কাউন্সিল জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নবায়ন করা হবে।