ছাত্রকে কোপাল এক ছাত্রী

লক্ষ্ণৌয়ের ব্রাইটল্যান্ড স্কুলের শৌচাগারে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর কোপে আহত প্রথম শ্রেণির ছাত্র হৃত্বিককে দেখতে কেজিএমইউ হাসপাতালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
লক্ষ্ণৌয়ের ব্রাইটল্যান্ড স্কুলের শৌচাগারে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর কোপে আহত প্রথম শ্রেণির ছাত্র হৃত্বিককে দেখতে কেজিএমইউ হাসপাতালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

স্কুলের শৌচাগারে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার ভারতে লক্ষ্ণৌয়ের ত্রিবেণীনগর এলাকার ব্রাইটল্যান্ড স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।

প্রথম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত হৃত্বিক শর্মা নামের শিশুটির ভাষ্য, তাকে কোপালে স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হবে, এ কথা ভেবেই ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম শ্রেণির সাত বছর বয়সী হৃত্বিক শর্মা নামের ওই শিশুটি এখন কিংস জর্জ’স মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (কেজিএমইউ) চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসকেরা তার অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ঘটলেও গতকাল বুধবার কেজিএমইউ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানালে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শুরুতে স্কুল কর্তৃপক্ষ হৃত্বিকের মা-বাবাকে জানিয়েছিল, স্কুলে এক দুর্ঘটনায় সে আহত হয়েছে। পরে কেজিএমইউ বিষয়টি গণমাধ্যমে জানালে স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে পুলিশকে জানায়। এ কারণে জেলার স্কুল পরিদর্শক ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীদের ছবি দেখালে হাসপাতালে থাকা হৃত্বিক ওই মেয়েকে শনাক্ত করে। পরে ওই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ গুরুতর আহত হৃত্বিককে দেখতে কেজিএমইউয়ে গিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হৃত্বিককে স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে ওই ছাত্রী তার বুক ও পেটে ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কান্নাকাটি করছিল হৃত্বিক। পরে স্কুলের শিক্ষক অমিত সিং চৌহান তাকে দেখে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কেজিএমইউয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে হৃত্বিক জানিয়েছে, ‘এক শিক্ষক ডেকেছেন বলে বয়-কাট চুলের এক দিদি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। সে আমার হাত ধরে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। পরে সে ধারালো কিছু একটা দিয়ে কোপাতে থাকে। আমাকে এভাবে মারছ কেন বলে আমি ওই দিদিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে বলেছিল, আমি চাই আজ স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যাক।’

স্কুলের অধ্যক্ষ রীনা মানস বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে আমরা পুলিশকে সহায়তা করছি। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হচ্ছে।’

লক্ষ্ণৌয়ের এসএসপি দীপক কুমার বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে অজ্ঞাত একজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।

আলীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মীনাক্ষী কাত্যায়ন বলেন, একজন নারী পুলিশ সদস্য অভিযুক্ত ওই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।