কাবুলের হোটেলে নিহতদের ১৪ জন বিদেশি

হামলার পর কাবুলের বিলাসবহুল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ছবি: রয়টার্স
হামলার পর কাবুলের বিলাসবহুল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিলাসবহুল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গতকাল শনিবার রাতের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন বিদেশি। নিহত অপর চারজন আফগানিস্তানের নাগরিক। খবর বিবিসির।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হামলার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, বন্দুকধারীদের তিনি একজন আফগান নাগরিক বলে জানান। এরপর বন্দুকধারীরা তাঁকে ক্ষমা করে দেন। বন্দুকধারীরা চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘বিদেশিরা কোথায়?’

আফগান বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে হোটেল ভবনটি নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয় কমবেশি ১৬০ জনকে। তিনজন হামলাকারী ওই হোটেলেই নিহত হয়। এ অভিযানে চারজন বেসামরিক নাগরিকসহ ১০ জন আহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, ইউক্রেনের নয়জন এবং জার্মানি, গ্রিস ও কাজাখস্তানের একজন করে নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহত অপর দুই বিদেশির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

আফগানিস্তানের অন্যতম বিলাসবহুল হোটেল এটি। হামলার ঘটনার পরপরই হোটেলের ব্যবস্থাপক আহমেদ হ্যারিস নায়াব অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসতে পারেন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, হামলাকারীরা রান্নাঘরের মধ্য দিয়ে হোটেলটির প্রধান অংশে ঢুকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় হোটেলে থাকা লোকজন সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন।

দেশটির কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারীরা গুলি ছোড়ার পাশাপাশি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়।

রয়টার্স দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আহমদ ওয়াহেদের বরাত দিয়ে বলছে, আজ এই হোটেলে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সে কারণে এখানে শতাধিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক ও প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

একটি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত হোটেলটিতে এর আগে ২০১১ সালে হামলা চালিয়েছিল তালেবান। তবে এবারের হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।