অ্যাসাঞ্জ একটা 'সমস্যা'!

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: রয়টার্স
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: রয়টার্স

চলতি মাসের শুরুতে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নাগরিকত্ব দেয় ইকুয়েডর। এখন এই অ্যাসাঞ্জকেই ‘সমস্যা’ বলছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। গতকাল রোববার টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তিনি আমার সরকারের জন্য ব্যাপক ঝামেলা তৈরি করেছেন।’

লেনিন মোরেনো বলেন, ‘এ বিষয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ইতিবাচক ফলাফল পাব বলে আশা করছি।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের এই প্রতিষ্ঠাতা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ওই দূতাবাসে অবস্থান করছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে কূটনৈতিক মর্যাদা দিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানায় ইকুয়েডর। কিন্তু তা নাকচ হওয়ায় অ্যাসাঞ্জকে জানুয়ারিতেই নাগরিকত্ব দেয় ইকুয়েডর।

অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বহু গোপন নথি উইকিলিকসে ফাঁস করে দিয়ে ঝড় তোলেন। এর কিছুদিন পর সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশঙ্কা ছিল, সুইডেনে ফেরত পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং নথি ফাঁসের জন্য তাঁকে দণ্ডিত করা হবে।

সুইডেনে অবশ্য অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। লন্ডনে জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দূতাবাস থেকে বের হলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে ব্রিটিশ পুলিশ। এ কারণে অ্যাসাঞ্জ সেখানেই আছেন।