ইরানের বন্দরে বিনিয়োগ করছে ভারত

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে হাসান রুহানি ও নরেন্দ্র মোদি (ডানে)। ছবি: এএফপি
নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে হাসান রুহানি ও নরেন্দ্র মোদি (ডানে)। ছবি: এএফপি

ইরানের চবাহার সমুদ্রবন্দরে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে ভারত। এই বিনিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে নয়টি চুক্তি সই হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে সই করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত বৃহস্পতিবার ভারতে যান ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। আজ দুপুর ১২টার দিকে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠক করেন মোদি ও রুহানি। পরে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যেও বৈঠক হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, চবাহার বন্দরে নির্মাণে বিনিয়োগ ছাড়াও কৃষি, স্থাপনা, স্বাস্থ্য, ওষুধ, ভিসা, দ্বৈত কর ব্যবস্থা, ডাক প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, দুই নেতার বৈঠকে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, জ্বালানি, যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক শেষে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তাঁরা চবাহার বন্দর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছেন।

আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। মোদি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসমুক্ত দেখতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে হাসান রুহানি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমন করতে চাই।’

এর আগে ইরানি প্রেসিডেন্ট ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন। সকাল পৌনে ১০টায় রুহানি রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচিহ্নে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১০ বছরের হাসান রুহানিই প্রথম ইরানি প্রেসিডেন্ট, যিনি ভারত সফরে গেলেন। ২০১৬ সালে মোদি ইরান সফর করেন।