ভারতে প্রতি ৪ ঘণ্টায় একজন ব্যাংকার জালিয়াতি করেন

ভারতে জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় প্রতি চার ঘণ্টায় কমপক্ষে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হন এবং দণ্ড পান।
ভারতে জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় প্রতি চার ঘণ্টায় কমপক্ষে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হন এবং দণ্ড পান।

জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় ভারতে প্রতি চার ঘণ্টায় অন্তত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ধরা পড়েন ও দণ্ডিত হন। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক—রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) সংকলিত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই তথ্য সংকলনের কাজ শুরু হয় বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়।

২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জালিয়াতির অভিযোগে সরকারি ব্যাংকের ৫ হাজার ২০০ জন দণ্ডিত হয়েছেন। আরবিআইয়ের তথ্যে বলা হয়, এই কর্মকর্তাদের কাউকে কাউকে জরিমানা করা হয়েছে আবার অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

তথ্যে দেখা যায়, ওই ২ বছর ৩ মাসে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ১ হাজার ৫৩৮ জন, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকের ৪৪৯ এবং সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৪০৬ জন কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এই সময়ে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৮৪ জন কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হন। সংখ্যাটি বেশ উল্লেখযোগ্য কারণ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকের একটি শাখাতেই সম্প্রতি প্রায় ১৮০ কোটি ডলার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।

তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সচেতন হতে নির্দেশনা দিয়েছে আরবিআই।

তবে ব্যাংক ব্যবস্থার কিছু ত্রুটির কারণে জালিয়াতি এড়ানো যাচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একটি মাল্টি ন্যাশনাল ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক বিকাশ গঙ্গাধারণ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘প্রমাণের জন্য একাধিক স্তর থাকা উচিত....কিন্তু ভারতীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত। যদি ম্যানেজার বলে এমনটা হবে , কেউ বলে না যে এটার একটা পর্যালোচনা করা হোক। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’

আরবিআইয়ের ভিন্ন আরেক তথ্যে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংক মোট ১৭ হাজার ৫০৪টি জালিয়াতির ঘটনায় ৬৬ হাজার ৬৬ কোটি রুপি হারিয়েছে।