ভারত থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৪২ কথ্য ভাষা

আন্দামানের আদিবাসী জারোয়া সম্প্রদায়। ছবি: সংগৃহীত।
আন্দামানের আদিবাসী জারোয়া সম্প্রদায়। ছবি: সংগৃহীত।

ভারত থেকে এবার হারিয়ে যাওয়ার পথে ৪২টি কথ্য ভাষা। ইউনেসকোর বিপন্ন ভাষার তালিকায় উঠে এসেছে এই ৪২টি ভাষার কথা। এসব ভাষার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে একটি ভাষা। এ ঘটনায় ইউনেসকো ও ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভাষাগুলো এখন দ্রুত অবলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে।

ভারতে তফসিলভুক্ত ২২টি জাতীয় ভাষা রয়েছে। রয়েছে যুক্তিনির্ভর ১ হাজার ৬৩৫টি মাতৃভাষা। আরও রয়েছে ২৩৪টি চিহ্নিত মাতৃভাষা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন সময় আরও ৩১টি আঞ্চলিক ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী ভারতের তফসিলভুক্ত জাতীয় ভাষা হলো ২২টি। এ ছাড়া ১০০টি নির্দিষ্ট ভাষা রয়েছে। এক লাখ বা তার বেশি মানুষ সে ভাষায় কথা বলে। এর মধ্যেই আবার ৪২টি ভাষায় কথা বলে ১০ হাজারের কম মানুষ। এ ৪২টি ভাষা এখন ইউনেসকোর বিপন্ন ভাষার তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১০টি ভাষা। এগুলো হলো গ্রেট আন্দামানিজ, জারোয়া, লুরো, মুয়োট, ওঙ্গে, পু, সানেন্যিও, সেন্টিলিজ, শম্পেন ও তাকাহান্যিলাং।

মণিপুরের সাতটি ভাষা হলো আইমল, আকা, কইরেন, লামগ্যাং, লাংরোং, পুরুম ও তারাও ভাষা। হিমাচল প্রদেশের চারটি ভাষা হলো বাঘাতি, হান্ডুরি, পাংভালি ও সিরমাউদি ভাষা। ওডিশার মানডা, পার্জি ও পেঙ্গো, কর্ণাটকের কোরাগা ও কুরুবা, অন্ধ্র প্রদেশের গাডাবা ও নাইকি, তামিলনাড়ুর টোটা ও টোডা, অরুণাচল প্রদেশের ম্রা ও না, অসমের টাইনোরা ও টাইরং, উত্তরাখন্ডের বঙ্গানি, ঝাড়খন্ডের বিরজোড়, মহারাষ্ট্রের নিহালি, মেঘালয়ের রুগা ও পশ্চিমবঙ্গের টোটো (টোটো আদিবাসীদের ভাষা)।

ভারতের হারিয়ে যাওয়া ভাষা রক্ষা করা এবং তা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের গড়া মাইসুরুর কেন্দ্রীয় ভাষা চর্চা প্রতিষ্ঠান এসব ভাষাকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ভাষা রক্ষায় এক ভাষিক বা দ্বিভাষিক অভিধান, পাঠ্যপুস্তক রচনা ও লোককাহিনি সংগ্রহ করাসহ বিপন্ন ভাষার এনসাইক্লোপিডিয়া তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।