বিজয় সরকারের ১১৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন

বিজয় সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
বিজয় সরকার। ছবি: সংগৃহীত।

লোককবি বিজয় সরকারের ১১৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হলো পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার কেউটিয়া গ্রামে। এখানেই তিনি ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর মারা যান। কবির জন্ম বাংলাদেশের অবিভক্ত যশোর জেলার ডুমদী গ্রামে ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। এখন নড়াইল জেলা। প্রতিবছর ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি বিজয় সরকারের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয় তার সমাধির পাশে। কলকাতাসহ বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক, গবেষক, শিল্পীসহ বিশিষ্টজনেরা আসেন এখানে।

গতকাল মঙ্গলবার বিজয় সরকারের ১১৫তম জন্মবার্ষিকী উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবে যোগ দিয়ে বিশিষ্টজনেরা বলেন, বিজয় সরকার দুই বাংলার সম্পদ। তিনি ছিলেন কবি, লোকসংগীতশিল্পী, সুরকার। দুই বাংলার অসংখ্য বাউল, ফকির, লোকশিল্পীরা এখনো তাঁর গান গেয়ে বেড়ান। ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার বিজয় সরকারকে মরণোত্তর একুশে পদকে সম্মানিত করেছে। পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ তাঁর রচনা পাঠ্যতালিকাভুক্ত করেছে। দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের তিনি ছিলেন এক শক্তিশালী কারিগর।

গতকাল বিজয় সরকারের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা বিজয় সরকারের লোকসংগীতশিল্পে তাঁর অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। বলেন, আজও মানুষের মুখে মুখে ভাসে বিজয় সরকারের লোকগীতি। বিজয়গীতি।

দুদিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক আবুল আহসান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান লীনা তাপসী খান। ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী কাননবালা সরকার, শান্তা সরকার, জারিগানের বিখ্যাত শিল্পী সালমা সুলতানা, শাহজাহান আলী বয়াতি প্রমুখ। আর এপার বাংলার ছিলেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক রতন নন্দী, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা সংসদের অধিকর্তা দিব্যগোপাল ঘটক প্রমুখ। আজ বুধবার উৎসব শেষ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে নিযুক্ত কাউন্সিলর মিয়া মো. মাইনুল কবীর।

উৎসবে আয়োজন করা হয়েছে বিজয়গীতি, বাউল, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, কবিগান, জারিগান আর নানা লোকগানের অনুষ্ঠান।