ডিএনএ বিশ্লেষণ ভাড়ায় আয়

আয়ের নতুন উৎসের সন্ধান মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নেবুলা জিনোমিকস বলেছে, নিজের ডিএনএ-সংক্রান্ত তথ্য ভাড়া দিয়ে যে কেউ আয় করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রাপ্ত তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে গবেষণা চালাবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে নিজের ডিএনএর বিশ্লেষণ করে বৈশিষ্ট্য ও স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত তথ্য জানতে বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দিতে হয়। যেমন প্রতিষ্ঠান ভেদে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত তথ্য বা বৈশিষ্ট্য জানতে ১৫০ পাউন্ড পর্যন্ত গুনতে হয়। আর ডিএনএর পুরো বিশ্লেষণের জন্য খরচ পড়ে ১০০০ পাউন্ডের মতো। এই জায়গাতেই আয়ের উৎস খুঁজে পাচ্ছে নেবুলা জিনোমিকস। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ডিএনএ বিশ্লেষণকারী ব্যক্তির তথ্য তারা নিজেদের সংরক্ষণে রাখবে। এরপর ওই ব্যক্তির অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর তথ্য পরে অণুজীব প্রকৌশল ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরবরাহ করা হবে। তথ্য ভাড়া দিয়ে যে আয় আসবে, তার একাংশ পাবেন তথ্যদাতা।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ গবেষক জর্জ চার্চ তাঁর ছাত্র ডেনিস গ্রিশিন এবং গুগলের সাবেক কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তা কামাল ওব্বাদকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন নেবুলা জিনোমিকস। তথ্য সংরক্ষণে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন তাঁরা। গ্রিশিন বলেন, ‘প্রচলিত ব্যবস্থায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো ডিএনএ বিশ্লেষণ করছে, তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য রেখে দিচ্ছে। এর থেকে কোনো লাভই পাচ্ছেন না আপনি। আমরা এই ব্যবস্থা ভাঙতে চাই।’

নেবুলা জিনোমিকসের পরিকল্পনা চমকপ্রদ হলেও প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প সময়ে ধনী করে দেওয়ার কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে গুঞ্জন উঠেছে, ডিএনএ বিশ্লেষণে যে খরচ পড়ে, ডিএনএ তথ্য ভাড়া দিয়ে একজন ব্যক্তি তার প্রায় ৫০ গুণ বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পরিমাণটা দাঁড়াতে পারে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত।