বুরকিনার ফাসোয় ফরাসি দূতাবাস ও সেনা সদর দপ্তরে হামলা, নিহত ১৬

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদুগুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।

হামলাকারীরা ফরাসি দূতাবাস এবং সেনা সদর দপ্তর লক্ষ্য করে গুলি চালায়। হামলায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও আক্রান্ত হয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর আট সদস্য এবং আট হামলাকারী নিহত হয়। সন্ত্রাসী হামলায় ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য মতে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরাসি দূতাবাসের সামনে পাঁচজন অস্ত্রধারী একটি গাড়ি থেকে নামে। দূতাবাসের সামনে থাকা সাধারণ পথচারীদের লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে হামলাকারীরা নিহত হয়েছে।

এক সূত্র বিবিসিকে জানায়, বুরকিনা ফাসোর ফরাসি দূতাবাসের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলার পেছনে ঠিক কারা জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে দেশটির তথ্যমন্ত্রী রেমিস ফুলগেন্স জানান। সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই হামলাকে তিনি ‘বড় রকমের সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেন।
গতকাল শুক্রবারের এ হামলার পরপরই বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট হোক মাফট ক্রিস্টোঁয়োঁ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের দেশ আবার অন্ধকারের শক্তির হামলার শিকার হয়েছে।’
গতকাল সকালের পরপরই হামলার শুরু হয়। হামলায় রাজধানী ওয়াগাদুগুর কেঁপে ওঠে।
বুরকিনার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ট সোয়াদোগো বলেন, হামলাকারীদের বহনকারী যানটি বিস্ফোরকে ভর্তি ছিল। হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল।
সোয়াদোগো বলেন, হামলা চলার সময় পাঁচ জাতির একটি শান্তি আলোচনা হচ্ছিল। সেনা সদর দপ্তরে এ আলোচনা চলছিল। হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল এ আলোচনা পণ্ড করা।