ফসল রক্ষায় রোবট নেকড়ে

ফসলের মাঠে গরু-ছাগল কিংবা পাখির হানা নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাই ফসলি জমিতে দেখা মেলে কাকতাড়ুয়ার। তবে প্রযুক্তিশিল্পে এগিয়ে থাকা জাপান সেকেলে কাকতাড়ুয়ায় আর সন্তুষ্ট নয়। ফসল রক্ষায় দেশটির উদ্ভাবকেরা হাজির করেছেন রোবট নেকড়ে। এরই মধ্যে এই রোবটের ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছেন জাপানের কৃষকেরা।

ভয়ংকর দর্শন এই নেকড়ের চোখ দুটো রক্ত লাল। এলইডির কল্যাণে এমনটা করা সম্ভব হয়েছে। বন্য শূকর থেকে শুরু করে হরিণ, গবাদিপশু, পাখি—সবাই এই নেকড়ের ভয়ে ফসলের মাঠের ধারেকাছেও ঘেঁষছে না। এমনকি ধান আর বাদামের খেতে কীটপতঙ্গের আক্রমণও নাকি কমে গেছে।

৫০ সেন্টিমিটার উঁচু এই রোবট নেকড়ে লম্বায় ৬৫ সেন্টিমিটার। সৌরশক্তি দিয়ে পরিচালিত হয় এটি। মোশন সেনসর ব্যবহার করে এটি অন্য কোনো প্রাণী ফসলের খেতে হানা দিয়েছে কি না বুঝতে পারে। আর তারপরই ছাড়ে প্রাণ কাঁপানো গর্জন। এতেই পিলে চমকে যায় খেতে হানা দেওয়া প্রাণীর।

জাপান অ্যাগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভের চিকাও উমেযাওয়া এই রোবট নেকড়ে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ফসলের মাঠে নেকড়েটি বসানোর পর পশুপাখির আক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় বলে তাঁরা লক্ষ করেছেন। শিগগিরই এর উৎপাদন বাড়ানো হবে এবং বাণিজ্যিকভাবে বিপণন শুরু হবে।