রাশিয়ার ১৯ নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড। ছবি: রয়টার্স

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও সাইবার হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ ১৯ রুশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র অভিযোগ গঠন করেছেন দেশটির বিচার বিভাগের বিশেষ উপদেষ্টা রবার্ট মুলার। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করা হয়।

মার্কিন সেক্রেটারি অব ট্রেজারি স্টিভেন ম্যানুচেন বলেন, ‘ধ্বংসাত্মক সাইবার হামলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে অনুপ্রবেশ’-এর অভিযোগে ওই রাশিয়ানদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়ার ‘চলমান আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড’কে লক্ষ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সেন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক ইন্টারনেট গবেষণা সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। সংস্থাটি অনলাইনে অসত্য তথ্য প্রচার করে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছে অভিযোগে বলা হয়েছে।

মস্কোর বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের শক্তিশালী এমন পদক্ষেপের বিষয়ে রাশিয়া বলছে, ‘এরই মধ্যে তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়েভজিনি প্রিজোভিন ও পুতিন সরকারের ১২ স্টাফসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মার্কিন উপদেষ্টা রবার্ট মুলার তদন্ত করে স্বতন্ত্র অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁরা রাশিয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, রাশিয়ান ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস অথবা এফএসবি এবং এর ছয় কর্মীকে সাইবার হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে। অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়ার কর্মকর্তাদের প্রতি আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলেও জানান ট্রেজারি সচিব স্টিভেন ম্যানুচেন। তবে তিনি নিষেধাজ্ঞায় শাস্তি কী হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।