দেশে ফেরার আকুতি

সের্গেই স্ক্রিপাল
সের্গেই স্ক্রিপাল

সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল নিজ দেশে ফিরতে চান। এ জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। সাবেক এই গুপ্তচরের এক বন্ধু বিবিসিকে জানিয়েছেন এ কথা।

ভ্লাদিমির তিমোসকোভ নামের স্ক্রিপালের ওই স্কুল বন্ধু বলেছেন, সের্গেই স্ক্রিপাল ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ‘সম্পূর্ণ ক্ষমা’ চেয়েছেন তিনি। কিন্তু এ ধরনের চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।

তিমোসকোভের মতে, সের্গেই স্ক্রিপাল নিজেকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ মনে করেন না। কারণ তিনি রাশিয়ার জন্যই শপথ নিয়ে কাজ করেছিলেন। ‘ডাবল এজেন্ট’ হওয়ার অনুতাপ রয়েছে তাঁর।  এরপর তাঁর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। আর সের্গেই স্ক্রিপালের দেশে ফিরতে চাওয়ার আরেকটি কারণ হলো, তিনি তাঁর মা, ভাই ও অন্য স্বজনদের দেখতে চান।

৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসব্যারি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রের বাইরে সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে (৩৩) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাঁদের ওপর নার্ভ এজেন্ট (বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস) প্রয়োগ করা হয়েছিল। সের্গেই স্ক্রিপাল একজন সাবেক রুশ গোয়েন্দা। তিনি যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ৬-এর কাছে রাশিয়ার গোপন কিছু তথ্য বিক্রি করেছিলেন। বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে ২০০৬ সালে তাঁকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন রাশিয়ার আদালত। ২০১০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দী গুপ্তচর বিনিময়ের অংশ হিসেবে ছাড়া পান সের্গেই স্ক্রিপাল। যুক্তরাজ্যে তিনি আশ্রয় নেন। যুক্তরাজ্যের অভিযোগ, রাশিয়া স্ক্রিপালকে হত্যার উদ্দেশে গ্যাস প্রয়োগ করেছে।

ভ্লাদিমির তিমোসকোভ আরও বলেন, সের্গেই স্ক্রিপাল দোষী সাব্যস্তের পর তাঁর মেয়ে ইউলিয়ার মাধ্যমে বন্ধুর খোঁজ রেখেছেন তিনি। ২০১২ সালে বন্ধু স্ক্রিপালের সঙ্গে আধা ঘণ্টা ফোনালাপ হয়েছিল তাঁর। বর্তমানে সের্গেই স্ক্রিপাল ও মেয়ে ইউলিয়া হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।