মালালাকে নিয়ে মাহিরার টুইট

মালালা ইউসুফজাই ও অভিনেত্রী মাহিরা খান
মালালা ইউসুফজাই ও অভিনেত্রী মাহিরা খান

শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরেছেন। আর তাই মালালা ইউসুফজাইকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান। বৃহস্পতিবার সকালে এক টুইট বার্তায় তিনি মালালাকে পাকিস্তানে স্বাগত জানান।

ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় করা মাহিরা লেখেন, ‘দেশে ফেরায় স্বাগতম বেবি গার্ল মালালা।’

নারীশিক্ষার পক্ষে প্রচারাভিযান চালানোয় ২০১২ সালে মালালাকে গুলি করে তালেবান। গুলি তাঁর মাথায় লাগে। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়া হয়। সৌভাগ্যক্রমে রক্ষা পান তিনি। তালেবানের গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনার পর এই প্রথম পাকিস্তানে ফিরলেন মালালা।

২০ বছর বয়সী মালালা এখন নারীশিক্ষা ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। পাকিস্তান সফরকালে মালালা তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত সোয়াত উপত্যকায় জন্ম নেওয়া মালালা তালেবানের বাধার পরও নারীশিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাওয়ায় ২০১২ সালে জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে। ২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭।

স্পর্শকাতর হওয়ায় মালালার পাকিস্তানে ফেরার বিষয়ে অনেক তথ্যই গোপন রাখা হয়েছে বলে দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, চার দিন দেশে থাকবেন মালালা। এ সময় শহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালালাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তালেবানদের হামলায় বেঁচে যাওয়ার পর আবারও তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে মালালা বলেন, তিনি তাঁর দেশের নদী ও পাহাড়গুলোকে খুব মিস করছেন। দেশের মাটিতে পা রাখতে চান।

গত বছরে কানাডার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হাত থেকে দেশটির সম্মানসূচক নাগরিকত্বের সনদ গ্রহণ করেন ১৯ বছর বয়সী মালালা।

পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই।

মালালার স্বপ্ন সফল করতে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বরকে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। বিভিন্ন দেশে মেয়েদের শিক্ষার সহায়তায় গঠন করেন মালালা ফান্ড। শিশু ও তরুণ-তরুণীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা ইউসুফজাই।