কবিগুরুর জন্মভিটে ঘুরে দেখলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সামনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যসহ অন্যরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সামনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যসহ অন্যরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভিটে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনারসহ বাংলাদেশ থেকে আসা নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর স্মৃতিবিজড়িত ঠাকুরবাড়ির বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁতুড় ঘর, লেখার ঘর, রান্নাঘর, ঠাকুর দালানসহ তাঁর প্রয়াণ কক্ষ ঘুরে দেখেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরীসহ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।

ঠাকুরবাড়িতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও হাঙ্গেরির গ্যালারিও ঘুরে দেখানো হয় আসাদুজ্জামান নূরকে। এ সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বাংলাদেশ গ্যালারি তৈরি করার আগ্রহ প্রকাশ করলে উপাচার্য তাতে সায় দেন। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কক্ষ দিতেও আগ্রহ প্রকাশ করে।

শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও রবীন্দ্রভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও রবীন্দ্রভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরী। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পরে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, তিনিও চান রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হোক বাংলাদেশ গ্যালারি। আর এই গ্যালারি তৈরির উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। রবীন্দ্রভারতী পরিদর্শন করার পর তিনি পরিদর্শন বইতে তাঁর মন্তব্য লেখেন।

এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার আসাদুজ্জামান নূর কবিগুরুর স্মৃতি জাগানিয়া শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। শান্তিনিকেতনে গড়া হচ্ছে বাংলাদেশ ভবন। সেই ভবনও ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সবুজকলি সেনের সঙ্গে বৈঠকও করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে কথা হয়।

আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ওই উৎসবে বিশ্বভারতীর আচার্য ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার কথা রয়েছে। বিশ্বভারতী চাইছে, ওই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শান্তি নিকেতন এসে যৌথভাবে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন।