ভারতে ২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসা বেড়েছে ১৭ শতাংশ

ভারতে ২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসা বেড়েছে ১৭ শতাংশ। পাশাপাশি বেড়েছে জীবনহানির সংখ্যা এবং সম্পত্তি ক্ষতির পরিমাণ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভারতে ৮২২টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১১১ নিহত হন। আহত হন ২ হাজার ৩৮৪ জন।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে ৭০৩টি। আর প্রাণহানি হয়েছিল ৮৬ জনের। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। গত এক বছরে ওই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১৯৫টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র। সেখানে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১০৫টি করে। এরপরে রয়েছে যথাক্রমে মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থান।

অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা একদম হয়নি পাঞ্জাব, মণিপুর ও ওডিশা রাজ্যে। অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও সিকিমে গত তিন বছরে একটিও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেনি গোয়া রাজ্যেও।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তর প্রদেশে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। একই সঙ্গে এই রাজ্যে গত এক বছরে নারী ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ২৬ শতাংশ। অপহরণের ঘটনা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। আর যৌতুকের কারণে নারী মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ শতাংশ।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক বছরে জন্মু কাশ্মীরে ৪০ জন নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু হয়।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, গত এক বছরে ৪২ শতাংশের বেশি সন্ত্রাসবাদীদের হত্যা করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। একই সঙ্গে এ কথাও বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে অশান্ত কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৬ জন নাগরিকের। আর ৫ হাজার ১২৩ জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। এই হিসাব ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের।

এ ছাড়া ২০১৭ সালে কাশ্মীরে ৪০৬টি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। তবে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ ঠেকানো বন্ধ না হলেও নকশাল অধ্যুষিত রাজ্যে নকশালদের হিংসার ঘটনা কমেছে। ২০১৬ সালে যেখানে ১ হাজার ৪৮টি নকশাল অধ্যুষিত এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯০৮টিতে।