নিজের বাসররাতের ভিডিও তুলে প্রতারণা করতেন তাঁরা!

প্রথমে নিজেদের ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী পরিচয় দিয়ে অবিবাহিত নারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতেন তাঁরা। এরপর যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করতেন। বিয়ের পর বাসররাতের ভিডিও করতেন স্বামী। এরপর ইন্টারনেটে সেই ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে করা হতো প্রতারণা। এই হুমকি দিয়েই স্ত্রীদের নানা অবৈধ কাজ করতে বাধ্য করতেন তাঁরা।

এই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মিরপুরে। স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। তাতেই প্রতারণার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এই কায়দায় ১৫ জনেরও বেশি তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বাসররাতের ভিডিওচিত্র প্রকাশের হুমকি দিয়ে তাঁদের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সরবরাহের মতো অবৈধ কাজ করতে বাধ্য করা হতো। এ ছাড়া ওই তরুণীদের ওপর যৌন নির্যাতনও চালানো হতো।

দ্য নেশনের খবরে বলা হয়েছে, প্রতারক চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন মুমতাজ নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে ব্রিটিশ-পাকিস্তানি বলে পরিচয় দিতেন। মুমতাজ নিজেও একাধিক তরুণীর সঙ্গে এভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। বিয়ের পর এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানাতেন। কোনো তরুণী তালাক চাইলেও দেওয়া হতো না। তখন স্ত্রীদের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা মামলা দেওয়া হতো।

এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক মুমতাজই পাকিস্তানের মিরপুরের সাতজন তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। মুমতাজের পরিবারের দুই সদস্যও এই বিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বর্তমানে পলাতক। প্রতারণার শিকার নারীদের অভিযোগ, অনেক নারীকে বিয়ের পর পাচার করার চেষ্টাও করত প্রতারকেরা।