কানের ভেতর ৯ দিন তেলাপোকার বাস

কানে শীতল কিছু একটা অনুভব করে মাঝরাতে চমকে জেগে উঠলেন কেটি হোলি। দৌড়ে বাথরুমে গেলেন, কটন বাড কানে ঢোকালেন। তখনই কানের ভেতর কিছু একটা নড়ে উঠল। পরে ধরা পড়ল, কেটির কানে তেলাপোকা ঢুকেছে। নয় দিন যন্ত্রণা ভোগের পর এ থেকে পরিত্রাণ পান তিনি।

২৯ বছর বয়সী কেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মেলবোর্ন শহরের বাসিন্দা। কেবল ফ্লোরিডার শহরগুলোই নয়, নিউ অরলিনস, আটলান্টার মতো যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণ ও আর্দ্র শহরগুলোয় তেলাপোকার উপদ্রব নতুন কিছু না। কেটি-জর্ডান হোলি দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের বাসা যেন তেলাপোকার ঘরবসতি হয়ে উঠেছিল।

কেটি গত শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ঘটনার শুরু গত ১৪ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত পৌনে দুইটার দিকে। ঘুম থেকে চমকে উঠে দৌড়ে বাথরুমে গেলেন তিনি। পেছন পেছন ছুটলেন স্বামী জর্ডানও। কটন বাডে কাজ না হওয়ায় জর্ডান কেটির কানে আলো ফেলে একটা তেলাপোকার পেছনের কিছু অংশ দেখতে পান। চিমটি দিয়ে তখনই পোকার কয়েকটা পা বের করে আনেন। কিন্তু পোকাটা আরও ভেতরে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। দ্রুত কাছের একটি হাসপাতালে ছুটলেন তাঁরা।

হাসপাতালের নার্স কানের ভেতরে তেলাপোকার গায়ে ইনজেকশন দেন। দুই মিনিটের মধ্যে সেটি মারা যায়।  এরপর চিকিৎসক তেলাপোকার দেহের কিছু অংশ বের করে আনেন। কন্তু এক সপ্তাহ পরও কেটির কানের অস্বস্তিবোধ দূর হলো না। পরে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। চিকিৎসক যোগাযোগ করিয়ে দেন পরিচিত এক নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। ওই চিকিৎসক কেটির কান থেকে যা বের করেছিলেন, তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠে কেটি-জর্ডান দম্পতির। একটা তেলাপোকার মাথা, ধড়, কয়েকটি পা এবং লম্বা একটি শুঁড় বের করে আনেন ওই চিকিৎসক।