স্ত্রীর আত্মহত্যা, অভিযুক্ত কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর

কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর ও স্ত্রী সুনন্দা পুস্কার। ছবি: রয়টার্স
কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর ও স্ত্রী সুনন্দা পুস্কার। ছবি: রয়টার্স

ভারতের কংগ্রেস নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর বিরুদ্ধে স্ত্রী সুনন্দা পুস্কারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। সুনন্দার মৃত্যুর চার বছর পর এ অভিযোগ আদালতে পেশ করেছে ভারতের পুলিশ। আজ সোমবার দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তবে অভিযোগ নিয়ে শশী থারুর হতাশা প্রকাশ করেছেন।

২০১০ সালে ২২ আগস্ট কেরালার সাংসদ শশী থারুর ও সুনন্দার বিয়ে হয়। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশটির রাজধানী দিল্লির একটি পাঁচ তারকা হোটেলের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় সুনন্দা পুস্কারের মরদেহ। সুনন্দা পুস্কারের মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলা হয়েছিল। সুনন্দাকে খুন করা হয়েছে সন্দেহে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় শশী থারুরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশের ধারণা করছিল, সুনন্দাকে বিষ প্রয়োগ হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ জানায়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তখন এ ঘটনায় সন্দেহভাজনের নাম উল্লেখ করেনি পুলিশ। কিন্তু সোমবার দিল্লির পুলিশ শশী থারুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুলিশ খুনের প্রমাণ পায়নি। তবে সুনন্দাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

মৃত্যুর দিন কয়েক আগে স্বামীর শশী থারুরের বিরুদ্ধে নানা কথা বলেছিলেন সুনন্দা। শশীর সঙ্গে পাকিস্তানের এক নারী সাংবাদিকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সুনন্দা পুস্কার।

দিল্লি পুলিশের অভিযোগে বলা হয়েছে, সুনন্দার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর। এ ছাড়া বিবাহিত জীবনে তিনি নিষ্ঠুর আচরণ করতেন।

দিল্লি পুলিশের অভিযোগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শশী থারুর। টুইটে তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘অযৌক্তিক অভিযোগপত্র’ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সুনন্দা পুস্কার যে আত্মহত্যা করবেন, তা আঁচ পর্যন্ত করতে পারিনি।’ দিল্লি পুলিশের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পরেও যে সুনন্দার আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁকে দায়ী করা হবে, এটা তিনি ভাবতেও পারেননি। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ও টিওআই