১৫ কোটি টাকা দামের মোটরসাইকেলে কী আছে

বিশ্বের সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে বিখ্যাত মার্কিন মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হার্লি ডেভিডসন।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে বিখ্যাত মার্কিন মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হার্লি ডেভিডসন।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে বিখ্যাত মার্কিন মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হার্লি ডেভিডসন। ৯ মে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এক অনুষ্ঠানে হার্লি ডেভিডসনের ব্লু-এডিশনকে সবার জন্য প্রকাশ্যে আনল সংস্থা। বিশ্ববাজারে এটির দাম রাখা হয়েছে ১ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর দাম ১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ টাকায় একটি ফেরারিসহ কয়েকটি দামি গাড়ি কেনা যাবে। তবে বাংলাদেশে আসতে আসতে এর মূল্য আরও বেশি হবে।

৯ মে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আনা হয় ৩৮৮ কেজি ওজনের এ বাইক।
৯ মে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আনা হয় ৩৮৮ কেজি ওজনের এ বাইক।

হার্লি-ডেভিডসনের ব্লু-এডিশন ভার্সনের এই অত্যাধুনিক মোটরসাইকেলে নাম দেওয়া হয়েছে ‘সফটটেল স্লিম এস’। সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত গয়না ও ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বুশারার’ এবং মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বান্ডানার বাইক’ যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে। এই দুই সংস্থার আটজন বিশেষজ্ঞ ২ হাজার ৫০০ ঘণ্টা ধরে গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাইকটির নকশা তৈরি করেছেন।

মোটরসাইকেলটিতে ৩৬০টি হীরা বসানো আছে। বাইকের স্ক্রুগুলো সবই সোনার। মোটরবাইকটিতে ছয়টি স্তরে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। তবে এটা কীভাবে করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে জানাতে চায়নি প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।

ফুয়েল ট্যাংকের এক পাশে আছে ঘড়ি। বাইকটি অনেক দিন না চালালেও ঘড়িটি বন্ধ হবে না।
ফুয়েল ট্যাংকের এক পাশে আছে ঘড়ি। বাইকটি অনেক দিন না চালালেও ঘড়িটি বন্ধ হবে না।

হার্লি-ডেভিডসনের যত মডেল বাজারে এসেছে, কোনটিতেই ঘড়ি ছিল না। কিন্তু ব্লু-এডিশনের অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে, এর ফুয়েল ট্যাংকের ডান পাশে একটি ঘড়ি লাগানো হয়েছে। ফুয়েল ট্যাংকের ডান পাশে ৫ দশমিক ৪ ক্যারেটের ডায়মন্ড রিং বসানো হয়েছে। ফুয়েল ট্যাংকের এক পাশে ঘড়ি এবং অন্য পাশে হীরাখচিত রিং এবং তার থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা আলো গাড়ির শোভা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাড়ির ইঞ্জিনের কম্পন থেকে ঘড়িকে বাঁচাতে ট্যাংকের ওপর একটি বিশেষ খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। ঘড়িটিকে ধরে রাখার জন্য সিলিকন রিং দিয়ে বিশেষ হোল্ডার তৈরি করা হয়েছে। বাইকটি অনেক দিন না চালালেও ঘড়িটি বন্ধ হবে না, কেননা ওই হোল্ডার ঘড়িটিকে সচল রাখবে।

মোটরসাইকেলটি বসানো আছে ৩৬০টি হীরা। বাইকের স্ক্রুগুলো সবই সোনার।
মোটরসাইকেলটি বসানো আছে ৩৬০টি হীরা। বাইকের স্ক্রুগুলো সবই সোনার।

১ হাজার ৮৮৮ সিসির এ মোটরসাইকেলের গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৮৮ কিলোমিটারের বেশি। ৩৮৮ কেজি ওজনের এ বাইকে বসামাত্রই আঙুলের স্ক্যানিং শুরু করে দেবে মোটরসাইকেলটি।

এর আগে দামের বিচারে এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেলের রেকর্ডটি ছিল ১৯৫১ ভিনসেন্ট ব্ল্যাক লাইটনিংয়ের দখলে। এ বছরের গোড়ায় নিলামে বাইকটির দাম উঠেছিল ৯ লাখ ২৯ হাজার ডলারে। নিলামে ওঠা দরের কারণেই বাইকটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইকের তকমা পেয়েছিল। ইন্ডিয়া টুডে ও দ্য টেলিগ্রাফ।