ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত

ত্রিপুরার নারী পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিপুরার নারী পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পুলিশে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া রাজ্য সরকার। বিজেপি ত্রিপুরায় সরকার গঠনের ৭৫ দিনের মধ্যে গতকাল শনিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ত্রিপুরা সরকারের আশা, পুলিশে নারী সদস্য বেশি নিয়োগের মাধ্যমে নারী নির্যাতন কমবে।

আজ রোববার মুঠোফোনে রাজ্যের আইন ও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ প্রথম আলোকে বলেন, এই সংরক্ষণের ফলে নারীদের ওপর আক্রমণ অনেকটাই কমবে। সেই সঙ্গে অপরাধীদের শাস্তি দিতেও সুবিধা হবে। তিনি জানান, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার আরও বেশি পদ নারীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করবে।

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ত্রিপুরার পুলিশ-প্রধান অখিল কুমার শুক্লা। আজ প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীতে নারীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ খুব জরুরি ছিল। এতে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।’

৩৭ লাখ মানুষের বাসভূমি ত্রিপুরায় ২৬ হাজার পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে পুলিশে নারী সদস্যদের সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ২০০। নতুন নিয়োগ নীতি অনুযায়ী আরও ১ হাজার ৪০০ নারী কর্মী প্রয়োজন হবে।

সাবেক পুলিশ আধিকারিক জয়দেব দাসের মতে, নারীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ তাঁদের কর্মসংস্থানের পক্ষে খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে এর ফলে নারী নির্যাতন কতটা কমবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

আজ প্রথম আলোকে জয়দেব দাস বলেন, সামাজিক অবক্ষয় না কমলে নারী নির্যাতন কমবে না। মানুষের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে।

শুধু পুলিশে নারীদের জন্য কোটা সংরক্ষণই নয়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার নিয়োগনীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এখন থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরি বাদে সব ক্যাটাগরিতেই লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হবে।

মন্ত্রী রতনলাল নাথের মতে, তথ্য জানার আইনের কারণে যে-কেউ নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা যাচাই করতে পারবেন। বাম আমলে ব্যাপক দলবাজির মাধ্যমে শুধু পার্টি ক্যাডারদের চাকরি হয়েছে। বিজেপি তাই প্রথম থেকেই স্বচ্ছতা আনতে চায় নিয়োগে। চায় যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ।