পাকিস্তানকে তথ্য পাচারের দায়ে ভারতীয় কূটনীতিকের কারাদণ্ড

২০১০ সালে মাধুরী গুপ্তকে তিজ হাজারি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ছবিটি তোলা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০১০ সালে মাধুরী গুপ্তকে তিজ হাজারি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ছবিটি তোলা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচারের দায়ে ভারতের এক কূটনীতিককে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত থাকার সময় তিনি এই তথ্য পাচার করেন।

এই কূটনীতিকের নাম মাধুরী গুপ্ত। দ্বিতীয় সচিব হিসেবে মাধুরী দূতাবাসের নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তবে তিনি সব সময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।

গত শুক্রবার নয়াদিল্লির আদালত মাধুরীকে এ দণ্ড দেন বলে আজ রোববার তাঁর আইনজীবী জানায়।

মাধুরীর বিরুদ্ধে ইসলামাবাদে ভারতের দূতাবাসে কর্মরত থাকাকালে ‘গুপ্তচরবৃত্তি এবং অন্যায়ভাবে তথ্য আদান প্রদানের’ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাধুরী দোষী সাব্যস্ত হন।

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে ২০১০ সালে ৬১ বছর বয়সী মাধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই বছর পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

মাধুরীর আইনজীবী যোগিন্দার দাহিয়া বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে মাধুরী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।তিনি এএফপিকে বলেন, মাধুরী ইতিমধ্যে ২১ মাস জেল খেটেছে। সেই হিসাবে তাঁকে মুক্তি দেওয়া উচিত।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, মাধুরী ২০০৯ ও ২০১০ সালে পাকিস্তানের কাছে তথ্য পাচার করেন। কিন্তু তার পাচার করা তথ্যগুলো সামরিক সংক্রান্ত না হওয়ায় তিনি দীর্ঘমেয়াদি সাজা থেকে মুক্তি পান।

ভারতের পুলিশ জানায় ২০১০ সালে গ্রেপ্তারের আগে তাঁকে ছয় মাস নজরদারিতে রাখা হয়।