পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে ফের মামলা

কলকাতা হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতা হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পাঁচ দিন পরও আইনি জটিলতা কাটছে না। বিতর্কিত ওই নির্বাচন নিয়ে একের পর মামলা হচ্ছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তুলে ওই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে গতকাল সোমবার ফের কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় সরকার বা পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয় ১৪ মে। ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ১৭ মে। এই নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে শাসক দলের রোষের মুখে পড়েন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। এ নিয়ে গিয়ে বারবার মামলা হয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টসহ কলকাতা হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েতের ৬৬ শতাংশ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪ মে। বাকি ৩৪ শতাংশ আসনে শাসক দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলে সুপ্রিম কোর্ট ওই ফলাফলের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। আগামী ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানির পর ওই নির্বাচন নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় গতকাল মামলা করেন প্রদীপ চক্রবর্তী। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী সুপ্রতীম রায় তাঁর আবেদনে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার। কিন্তু দুই আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনকালে অবাধ ভোট লুট, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ছাপ্পা ভোট, ভোটকেন্দ্র দখল, বোমাবাজি, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা এবং শাসক দল ব্যাপক সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। এতে করে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু ভোটার। তাই অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে মানুষ সঠিকভাবে ভোটদানের সুযোগ পাননি। এ কারণে নির্বাচন বাতিল করে নতুনভাবে নির্বাচন করার আদেশ দেওয়ার আরজি জানান আবেদনকারী।

আরজিতে বলা হয়, নির্বাচনের দিন শাসক দলের তাণ্ডবের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বিরোধী দল। এমনকি মনোনয়নপত্র জমার সময়ও বহু কেন্দ্রে শাসক দলের বাধার মুখে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা।

এবারের এই ৬৬ শতাংশ আসনের নির্বাচনে ৯০ শতাংশ আসনে জয়ী হয় তৃণমূল।