আস্থা ভোটে জয়ী কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী

এইচ ডি কুমারস্বামী
এইচ ডি কুমারস্বামী

নিজের আস্থা ভোটের সময় যা করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর আস্থা ভোটের সময়ও তাই করলেন বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। ‘নীতিহীন’ জোটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করে কৃষিঋণ মওকুফের দাবি জানিয়ে বিধানসভা থেকে সদলে ওয়াক আউট করলেন। বিরোধীহীন বিধানসভায় আস্থা ভোট জিতলেন কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। 

আস্থা ভোটের ঠিক আগে স্পিকার নির্বাচিত হন কংগ্রেসের রমেশ কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েও বিজেপি শেষ মুহূর্তে তা প্রত্যাখ্যান করে নেয়। রমেশ কুমার স্পিকার নির্বাচিত হন সর্বসম্মতভাবে।
তবে নতুন জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা রয়েই গেল।

কুমারস্বামীকে সমর্থনের চিঠিতে কংগ্রেসের দিক থেকে কোনো শর্ত রাখা ছিল না। এ কথাও বলা ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর পদ দুই দলের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। একবার জেডিএস, অন্যবার কংগ্রেস। কুমারস্বামীও জানিয়েছিলেন, এমন কোনো শর্ত কংগ্রেস রাখেনি। গতকাল শুক্রবার আস্থা ভোটের দিন সেই জল্পনা কংগ্রেস কিন্তু উসকে দিল। উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, কুমারস্বামী টানা পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি না, এসব নিয়ে জোট নেতৃত্বের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।

এই সরকারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে রীতিমতো সংশয় প্রকাশ করেন ইয়েদুরাপ্পা। আস্থা ভোটের ওপর ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি কংগ্রেসের ‘অভিসন্ধি’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কুমারস্বামীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এই কংগ্রেস আগে কী ব্যবহার করেছিল, তা ভুলে যাবেন না। এবারেও এই কংগ্রেস আপনাকে টিকতে দেবে না। ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘আমরা বিরোধী আসনেই থাকব। দেখি কী করে তিন মাস আপনারা কাটান।’
ইয়েদুরাপ্পা বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কৃষিঋণ মওকুফ করতে হবে দ্রুত। সোমবারের মধ্যে কৃষিঋণ মওকুফ না করলে রাজ্যজুড়ে কৃষক আন্দোলন শুরু হবে।