কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-লিট পেলেন শেখ হাসিনা

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ডি-লিট ডিগ্রি তুলে দেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ডি-লিট ডিগ্রি তুলে দেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক ডি-লিট ডিগ্রি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন উদ্‌যাপনে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিশেষ সমাবর্তন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানজনক ডি-লিট তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সময় বেলা একটায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ডি-লিট ডিগ্রি তুলে দেন।

জন্মদিনে বিদ্রোহী কবির জন্মভিটা বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে শুরু হয়েছে নজরুল মেলা। আজ সকালেই কলকাতা থেকে আসানসোল এসে শেখ হাসিনা বিশেষ সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। দুপুরে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়া হয়।

ডি-লিট পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দুই বাংলার সব বাঙালির প্রতি উৎসর্গ করেন এই সম্মান। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় সমাবর্তন উৎসব। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক পাওয়া ২০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনা ১৯ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির আমলে নজরুল জন্মশতবর্ষ উৎসবে যোগ দিতে বর্ধমানের আসানসোলের চুরুলিয়ায় গিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালের ২৮ জানুয়ারি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ প্রদান করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুদিনের সফরে গতকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে গেছেন। গতকাল কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে বিশেষ হেলিকপ্টারে চলে যান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। সেখানে তিনি প্রথমে যোগ দেন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে। এরপর শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লিতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থানুকূল্যে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবনে’ যান। শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ভবন। বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ২৫ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই ভবন। বাংলাদেশ সরকার আরও ১০ কোটি রুপি দিয়েছে এই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলেই চলে যান কলকাতায়। বিকেলে তিনি কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে যান। ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ি। সঙ্গে ছিলেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গের নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফরহাদ হাকিম, পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রমুখ।

গতকাল সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা কলকাতার শিল্পপতিদের সঙ্গে দেখা করেন। রাতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির রাজভবনে দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। আজ রাতেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।