মমতার সম্মতি ছাড়া তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নয়: সুষমা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

‘তিস্তার পানির বড় অংশীদার পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি ছাড়া তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার’—এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

গতকাল সোমবার রাজধানী দিল্লিতে মোদি সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুষমা এসব কথা বলেন।

গত শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন। শান্তিনিকেতনে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ভবনে এক একান্ত বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এক একান্ত বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকেও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, তা-ও স্পষ্ট করেননি হাসিনা ও মমতা। এতে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির সম্পাদন নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিস্তার পানিবণ্টন আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। এর জবাবে সুষমা স্বরাজ বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন প্রস্তাব শুধু দুই দেশের সরকারের মধ্যে হতে পারে না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ ক্ষেত্রে বড় অংশীদার। পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে এটা করা সম্ভব নয়। তাই পশ্চিমবঙ্গকে সঙ্গে না নিলে কীভাবে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের অগ্রগতি হবে? কারণ, পানি তো পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে যাবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সরকারের আমলেই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের আশ্বাস দিয়েছিলেন, এর কী হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মোদি সরকারের ওপর ভরসা রাখতে বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের হাতে এখনো এক বছর সময় আছে। তাই এখনই এই চুক্তি সম্পাদনে আমরা যে ব্যর্থ হয়েছি, তা বলার সময় আসেনি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পানিবণ্টনের জন্য বিকল্প তিনটি নদীর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষজ্ঞরা ও ভারত সরকার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টির সমীক্ষা শুরু করেছেন। সমীক্ষা এখনো শেষ হয়নি।’