চরমপন্থার অভিযোগে ৭ মসজিদ বন্ধ ও ৬০ ইমামকে বের করে দিচ্ছে অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়ায় ৭টি মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি।
অস্ট্রিয়ায় ৭টি মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি।

সাতটি মসজিদ বন্ধ করার ও বিদেশি অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকেন—এমন কয়েকজন ইমামকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কর্জ বলেছেন, রাজনৈতিক ইসলাম ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ায় কয়েকটি মসজিদের সঙ্গে তুরস্কের জাতীয়তাবাদীদের সম্পর্ক রয়েছে—এমন সন্দেহ করা হচ্ছে। গত এপ্রিলে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, শিশুরা তুরস্কের সেনাবাহিনীর পোশাক পরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার গাল্লিপলি যুদ্ধের ঘটনা মঞ্চস্থ করছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট অফিসের পক্ষ থেকে অস্ট্রিয়ার সিদ্ধান্তকে ইসলামোফোবিক, বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছে।

ভক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে সাত মসজিদ বন্ধ ও ৬০ ইমামকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের আইন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে দেশটির ভাইস চ্যান্সেলর হেইঞ্জ-ক্রিস্টিয়ান স্টার্ক বলেন, ‘এটা সবে শুরু।’

দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী গার্নট বল মেল বলেন, সন্দেহজনক চরমপন্থার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে, সব কটি সালাফি মতবাদের সঙ্গে যুক্ত।

৮৮ লাখ মানুষের দেশটিতে প্রায় ছয় লাখ মুসলমান বাস করে। যার মধ্যে অধিকাংশ তুরস্ক বংশোদ্ভূত।

এটিআইবির নিয়োগ দেওয়া ৪০ ইমামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মুখপাত্র ইব্রাহিম খালিদ একে সস্তা রাজনৈতিক ভিত্তির জন্য মুসলমান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করার অভিযোগ তুলেছেন।