যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় মিত্রদের নয়া উদ্বেগ

গত মঙ্গলবারের ট্রাম্প-কিম বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় মিত্র দেশগুলোর মধ্যে নয়া উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ছবি: রয়টার্স
গত মঙ্গলবারের ট্রাম্প-কিম বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় মিত্র দেশগুলোর মধ্যে নয়া উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ছবি: রয়টার্স

এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠক নিশ্চিতভাবেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও এখন আর তাদের কোরীয় উপদ্বীপে আশু যুদ্ধ শুরু হওয়ার ভয়ে সতর্ক থাকতে হবে না, কিন্তু গত মঙ্গলবারের ট্রাম্প-কিম বৈঠক দেশগুলোর মধ্যে নয়া উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। উত্তর কোরিয়াকে দেওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছাড় এ অঞ্চলকে সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারের ব্যাপারে তাদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিত করা এবং তিনি একপর্যায়ে কোরীয় উপদ্বীপ থেকে ২৮ হাজার মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার আশা করেন—এই মর্মে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আকস্মিক ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়াসহ আমেরিকার মিত্রদের চমকে দিয়েছে। এমনকি পেন্টাগনও বিষয়টি সম্পর্কে জানত না।

আরও বিশদভাবে বললে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা থেকে প্রশ্ন উঠেছে, উত্তর কোরিয়ার দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া এ অঞ্চল থেকে আমেরিকার সরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মিত্রদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব এশিয়ায় নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আগেরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অঞ্চলটিতে সেনা মোতায়েনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং পরিষ্কার ভাষায় বলেন, তিনি মনে করেন, ওদের ভরণপোষণে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি অর্থ খরচ করছে।