যানজট-দূষণে বিরক্ত হয়ে ঘোড়ায় চড়ে অফিসে!

রূপেশ কুমার ভার্মা যানজট ও দূষণে বিরক্ত হয়ে সম্প্রতি ঘোড়ায় চড়ে অফিসে গিয়েছেন। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া।
রূপেশ কুমার ভার্মা যানজট ও দূষণে বিরক্ত হয়ে সম্প্রতি ঘোড়ায় চড়ে অফিসে গিয়েছেন। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া।

কোনো অফিসে চাকরির শেষ দিন সবার কাছেই স্মরণীয় থাকে। তা আপনি চান বা না চান। কিন্তু ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এক সফটওয়্যার প্রকৌশলী চাকরির শেষ দিনে এমন এক কাজ করেছেন, যার ছবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ওই সফটওয়্যার প্রকৌশলীর নাম রূপেশ কুমার ভার্মা। যানজট ও দূষণে বিরক্ত হয়ে সম্প্রতি তিনি ঘোড়ায় চড়ে অফিসে গিয়েছেন। এ সময় তাঁর পরনে ছিল অফিসের নিয়মমাফিক সুচারু পোশাক ও কাঁধে ছিল ল্যাপটপের ব্যাগ। আর একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শেষ কর্মদিবস’।

নিউজএইটিনের খবরে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর যানজট ও দূষণের প্রতিবাদ করতেই ঘোড়ায় চড়ে অফিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রূপেশ। তিনি বলেন, ‘গত আট বছর ধরে আমি বেঙ্গালুরুতে আছি। এখানে যানবাহন অনেক বেশি এবং জনসংখ্যাও প্রচুর। প্রতিদিন যানজটের কারণে এই শহরের রাস্তাতেই কেটে যায় বেশির ভাগ সময়।’

ডেকান ক্রনিকলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপেশ কুমারের এই ঘোড়ায় চড়ে আসাটা অফিসের সবার ঠিক পছন্দ হয়নি। কর্মস্থলের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকে দিয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা বলেছিলেন, ঘোড়া নিয়ে ঢোকা যাবে না। কিন্তু রূপেশ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, কেন ঢোকা যাবে না? ঘোড়াও তো পরিবহনের একটি মাধ্যম।

এই ঘটনার ছবি ও ভিডিওচিত্র ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রূপেশ বলেছেন, এতটা আশা করেননি তিনি।

চাকরি ছেড়ে এখন নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ করছেন রূপেশ। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না, এটি এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি ছিল আমার শেষ কর্মদিবস এবং যানজটের ওপর আমার হতাশা ফুটিয়ে তুলতেই এই কাচজ করেছিলাম। যানজটের কারণে অনেক সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আমাদের একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবে এর বিকল্প সমাধান আছে এবং এর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ব্যবহার করা যায়।’

ভারতে ঘোড়ায় চড়ে অফিসে যাওয়ার ঘটনা আরও আছে। গত বছর হায়দরাবাদের একদল তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বাজে রাস্তার প্রতিবাদ জানাতে ঘোড়ায় চড়ে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন।