টিকিট কেটে গ্রামটিতে ঢুকতে হয় পর্যটকদের

চীনের শেংশান নামের দ্বীপপুঞ্জের একটি গ্রাম হলো হোউতোওয়ান। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকেই গ্রামটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। ছবি: এএফপি
চীনের শেংশান নামের দ্বীপপুঞ্জের একটি গ্রাম হলো হোউতোওয়ান। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকেই গ্রামটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। ছবি: এএফপি

সাগরের মাঝে দ্বীপ। সেই দ্বীপের একটি গ্রাম। সেখানে মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। কিন্তু সবুজের কমতি নেই। যেদিকে তাকাবেন, সেদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের আধিপত্য এতটাই যে বাড়িঘরও ছাড় পায়নি। পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়াল, জানালা, ছাদও এখন সবুজে সবুজ।

গ্রামটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকেই সেখানকার অধিবাসীরা ধীরে ধীরে গ্রাম ছেড়ে চলে যান। ছবি: এএফপি
গ্রামটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকেই সেখানকার অধিবাসীরা ধীরে ধীরে গ্রাম ছেড়ে চলে যান। ছবি: এএফপি

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চীনের শেংশান একটি দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপপুঞ্জে মোট ৪০০টি গ্রাম রয়েছে। এর একটি হলো হোউতোওয়ান। ১৯৯০-এর দশকেই গ্রামটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকেই সেখানকার অধিবাসীরা ধীরে ধীরে গ্রাম ছেড়ে চলে যান। জীবনযাপনের উন্নত সুযোগ-সুবিধার জন্যই অধিবাসীরা চলে গিয়েছিলেন মূল ভূখণ্ডে। এখন গোটা কয়েক মানুষ সেখানে থাকছেন। তবে মানুষ চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে প্রকৃতি রাজত্ব বিস্তার করেছে ওই গ্রামে।

সবুজের আধিপত্য এতটাই যে বাড়িঘরও ছাড় পায়নি। পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়াল, জানালা, ছাদও এখন সবুজে সবুজ। ছবি: এএফপি
সবুজের আধিপত্য এতটাই যে বাড়িঘরও ছাড় পায়নি। পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়াল, জানালা, ছাদও এখন সবুজে সবুজ। ছবি: এএফপি

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ছোট্ট এই গ্রামে সম্প্রতি গিয়েছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপির এক ফটোসাংবাদিক। তাঁর তোলা ছবিতে মূর্ত হয়ে উঠেছে গ্রামের সবুজ সৌন্দর্য। আগে এই গ্রামে থাকতেন হাজার দু-এক জেলে। ৫০০ বাড়ি ছিল সেখানে। এখন গ্রামের সব বাড়ি ও রাস্তা অধিকার করে নিয়েছে সবুজ গাছপালা।

সাংহাই থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। ২০১৫ সালে এই পরিত্যক্ত গ্রামকে নতুন করে আবিষ্কার করা হয়। ছবি: এএফপি
সাংহাই থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। ২০১৫ সালে এই পরিত্যক্ত গ্রামকে নতুন করে আবিষ্কার করা হয়। ছবি: এএফপি

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে এই পরিত্যক্ত গ্রামকে নতুন করে আবিষ্কার করা হয়। ওই সময়ে তোলা কিছু ছবিতেই গ্রামটির সৌন্দর্য বাইরের দুনিয়ার মানুষের কাছে ধরা দেয়। এখন গ্রামটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। আর পর্যটকদের জন্যই আবার সেখানে কিছু মানুষ আবাস গেড়েছেন। এই গ্রামে এখন টিকিট কেটে ঢুকতে হয় পর্যটকদের!

সাংহাই থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। ২০১৫ সালে এই পরিত্যক্ত গ্রামকে নতুন করে আবিষ্কার করা হয়। ছবি: এএফপি
সাংহাই থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। ২০১৫ সালে এই পরিত্যক্ত গ্রামকে নতুন করে আবিষ্কার করা হয়। ছবি: এএফপি

সাংহাই থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। এখানে এলে পানির বোতল ছাড়া আর কিছু কিনতে পারবেন না! পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা আছে এটুকুই।