দক্ষিণ কোরিয়া যা বন্ধ করছে চীনে তা শুরু

চীনের সাধারণ জনগণ কুকুরের মাংস খেতে পছন্দ করে। ছবি: এএফপি
চীনের সাধারণ জনগণ কুকুরের মাংস খেতে পছন্দ করে। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তবে চীনের ইউলিন এলাকায় কুকুরের মাংস খাওয়ার বিতর্কিত উৎসব শুরু হয়েছে। এর আগে এই উৎসব বাতিল করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, পশু অধিকারকর্মীরা অনেক দিন ধরেই চীনে কুকুরের মাংস খাওয়ার বিরোধিতা করে আসছেন। দেশটির গুয়াংঝি প্রদেশে প্রতিবছর দ্য লিচি অ্যান্ড ডগ মিট উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়। এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা দাবি করেন, কুকুরের মাংস বিক্রি না করতে কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে।

তবে দোকানদারেরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের এ ধরনের কোনো নির্দেশ দেয়নি। গত ১৫ মে নগর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে কুকুরের মাংসের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।

স্থানীয় সময় গত বুধবার ইউলিনের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দংকু বাজারে দোকানগুলোতে মাংস বিক্রির জন্য মৃত কুকুর ঝুলতে দেখা গেছে।

এএফপির খবরে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কোনো ধরনের বাধাবিপত্তি ছাড়াই কুকুরের মাংস খাওয়ার বার্ষিক ভোজ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর এক দিন আগেই দক্ষিণ কোরীয় আদালত মাংস খাওয়ার জন্য কুকুর নিধন অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।

ডংকু বাজারের রাস্তায় পুলিশকে পাহারা দিতে দেখা যায়। চীনে যে কুকুরের মাংস খোলাখুলিভাবেই বিক্রি হচ্ছে তার প্রমাণ মেলে পুলিশের সামনেই এক নারী ১০২ ডলার (৬৬২ ইউয়ান) দিয়ে বড় একটি কুকুর কেনেন। তিনি জানান, গ্রীষ্মকালীন উৎসব পরিবারের সঙ্গে পালন করতেই তিনি কুকুরটি কিনেছেন।

চেন নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, কুকুরের মাংস খুবই সুস্বাদু। কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে বিরোধীদের প্রচারণার বিষয়ে চেন বলেন, ‘আপনারা কি রোস্টার বছরে মুরগির মাংস খান না?’

পশু অধিকারকর্মীরা চীনে কুকুর নিধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য আন্দোলন করছেন। গত এপ্রিল মাসে তাইওয়ান কুকুর ও বিড়ালের মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।