এবার ভারত সফরে এইচ টি ইমাম

বিএনপির তিন নেতার সফরের পর এবার ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম)। তিন দিনের সফরে তিনি ৫ জুলাই দিল্লি আসছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু চর্চিত বিএনপি নেতাদের ওই সফরের ঠিক এক মাসের মাথায় এইচ টি ইমাম দিল্লি আসছেন। তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাই নন, নির্বাচন কমিটির সহ চেয়ারম্যান (কো চেয়ার) এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য। এই সফরে তিনি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (ওআরএফ) ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি-প্রকৃতির ওপর বক্তব্য দেবেন। ৭ জুলাই সেই বক্তব্যে দুই দেশের অতীত সম্পর্ক এবং সাম্প্রতিক সৌহার্দ্যের নিরিখে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এই সফরে এইচ টি ইমাম ভারতীয় সাংসদ
ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন। সফরের প্রথম দিন, ৫ জুলাই তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)। আইসিসিআর-এর সভাপতি শাসক দল বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাজ্যসভার সদস্য বিনয় সহস্রবুদ্ধে। শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সার্বিক সম্পর্কের যে উন্নতি হয়েছে, আগামী দিনে সেই সম্পর্ককে কীভাবে আরও দৃঢ় করা যায়, পারস্পরিক নির্ভরতা ও বিশ্বাসের ক্ষেত্র কীভাবে আরও বিস্তৃত করা যায়, এই সফরে এইচ টি ইমাম তা তুলে ধরবেন
এর আগে গত ২২ এপ্রিল আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফর করে। যার নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর দেড় মাসের মাথায় চলতি জুন মাসের প্রথম দিকে বিএনপির তিন নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর দিল্লি এসেছিলেন। সেই সফরে তাঁরা বিভিন্ন মহলে দুটি রাজনৈতিক বার্তা দিতে গেছেন। তা হচ্ছে, অতীতের ভুলভ্রান্তি দূর করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে স্থাপন করা। দ্বিতীয় বার্তা ছিল, ভারতের উচিত তার নিজের স্বার্থে বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিশেষ দলকে সাহায্য না করা। নির্বাচনে যাতে সবাই অংশ নিতে পারে, ভোট যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, সে জন্য ভারতের সচেষ্ট হওয়া উচিত। ভারতের এটা করা উচিত গণতন্ত্রের স্বার্থে।
অবশ্য গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ করার প্রশ্নই ওঠে না। ভারত কোনো দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাক গলায় না।