হামাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের সামনে হতাহতদের ছবি নিয়ে ফিলিস্তিনি শিশুদের বিক্ষোভ।  এএফপি
হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের সামনে হতাহতদের ছবি নিয়ে ফিলিস্তিনি শিশুদের বিক্ষোভ। এএফপি

হামাস গতকাল রোববার ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, ২০১৪ সালের পর গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা শাসনকারী ইসলামপন্থী সংগঠন হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দুজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়।
নেতানিয়াহু বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে ছোড়া রকেট হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও হামলা চালানো হবে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত শনিবার মিসর ও অন্যদের সহযোগিতায় এই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো গেছে। তবে ইসরায়েল এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। জাতিসংঘের একটি সূত্র বলেছে, সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ গাজাতে ছিলেন। সেখানে থেকে তিনি সব পক্ষকে এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করার জন্য কাজ করেছেন।
এদিকে, গত শনিবার রাতেও এই দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। এরপর গতকাল সকালে গাজায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। এর আগে ফিলিস্তিনের ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের দুই কিশোর নিহত হয়।
ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভেতরে প্রায় ২০০টির মতো রকেট ও মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। ওই রকেট একটি বাড়িতে আঘাত হানলে ইসরায়েলের চার নাগরিক আহত হন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা শহরের পশ্চিমে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ওই দুই কিশোরের বয়স ১৫ ও ১৬ বছর। এ ছাড়া গাজায় এই হামলায় ২৫ জন আহত হয়েছে। এদিকে গতকালও গাজা সিটিতে বিস্ফোরণে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে বিমান হামলার পর তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।