গুহায় কী ঘটেছিল, সাংবাদিকদের জানাবে কিশোরেরা

থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সেই ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ বাড়ি ফিরছে। ছবি: সিএনএনের সৌজন্যে
থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সেই ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ বাড়ি ফিরছে। ছবি: সিএনএনের সৌজন্যে

থাইল্যান্ডের অন্ধকার গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া ১২ কিশোর ও তাদের কোচ হাসপাতাল ছেড়েছে। তবে বাড়িতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হচ্ছে তাদের। গত সপ্তাহে তিন দিনের পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন ছিল।

আজ বুধবার বিকেল বিবিসি জানিয়েছে, বাড়িতে ফেরার আগে গুহা থেকে উদ্ধারের পর প্রথমবারের মতো তাঁদের জনসম্মুখে আনা হচ্ছে। এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তারা গুহার অভ্যন্তরে কাটানো কঠিন মুহূর্তের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবে। পরে তারা যে যার বাড়িতে ও পরিবারে ফিরে যাবে।

থাইল্যান্ডের সরকারের মুখপাত্র সানসেন কৈকুম্নেরড বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছেন, তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পরে যাতে মিডিয়া তাদের এ বিষয়ে বিরক্ত না করে, সে জন্য মিডিয়াকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হবে।

এরই মধ্যে সাংবাদিকদের জমা দেওয়া প্রশ্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ছেলেরা যাতে চাপ অনুভব না করে, তা নিশ্চিত করতে একজন শিশু মানসিক রোগের চিকিত্সক প্রশ্নগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। স্থানীয় সময় আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২৩ জুন থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ। ১২ কিশোরের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাদের সহকারী কোচ এক্কাপোল জানথাওংয়ের বয়স ২৫ বছর। তারা ওয়াইল্ড বিয়ার্স বা মু পা নামের একটি ফুটবল দলের সদস্য। নয় দিন গুহার ভেতরে আটকে থাকার পর ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরি রিচার্ড স্ট্যানটন ও জন ভলানথেন তাদের সন্ধান পান। অবস্থান জানার পর ১২ কিশোর ও তাদের কোচের জন্য গুহার ভেতরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পাঠানো হয় খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে ৫ জুলাই রাতে কিশোরদের কাছে অক্সিজেনের সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে প্রাণ হারান থাই নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি সামান কুনান।

৭ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার এক চিকিৎসক গুহায় ঢুকে কোচ ও কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে উদ্ধার অভিযান শুরুর সবুজসংকেত দেন। তাদের অবস্থানস্থলে যাওয়ার জন্য ওই পাহাড়ে শতাধিক গর্ত করা হয়। তবে সেখানে কিশোরদের না পেয়ে আগের পরিকল্পনামতো ডুবসাঁতার দিয়ে তাদের উদ্ধারে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয় ৮ জুলাই। প্রথম দিন চারজন ও দ্বিতীয় দিন ৯ জুলাই চারজন আর তৃতীয় দিন ১০ জুলাই চার কিশোরসহ তাদের কোচকে উদ্ধার করা হয়।